মানবপাচার রোধে অটল বাংলাদেশ
কার্যকর পদক্ষেপে জোর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার


ক্রাইম জোন ২৪।। মানবপাচার প্রতিরোধে বাংলাদেশ তার অঙ্গীকারে দৃঢ় রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)। তিনি জানান, মানবপাচারবিরোধী কার্যক্রমকে আরও জোরালো করতে শক্তিশালী আইনি কাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো এই অপরাধ রুখতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে।
রোববার (৬ এপ্রিল) রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ের সুরমা হলে অনুষ্ঠিত বিমসটেকের মানবপাচার বিষয়ক সাব-গ্রুপের তৃতীয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, “সীমান্তে নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। সেইসঙ্গে পাচার রোধে জনসচেতনতা বাড়াতে কার্যকর প্রচারণা চালানো হচ্ছে। পাচারকারীদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল চালু করা হয়েছে এবং ভুক্তভোগীদের সেবা নিশ্চিত করতে জাতীয় রেফারেল ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছে।”
সভার সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও বিমসটেক সাব-গ্রুপের চেয়ারম্যান খন্দকার মো. মাহাবুবুর রহমান। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ঢাকায় বিমসটেক সেক্রেটারিয়েটের পরিচালক প্রশান্থ চান্দ্রান।
উপদেষ্টা আরও বলেন, “মানবপাচারকারীরা নতুন নতুন কৌশল গ্রহণ করছে। তারা দারিদ্র্য ও প্রযুক্তির অপব্যবহার করে অভিবাসনের সুযোগ কাজে লাগিয়ে অপরাধ চালাচ্ছে। তাই এই অপরাধ রোধে অঞ্চলভিত্তিক সমন্বিত পদক্ষেপ প্রয়োজন।”
তিনি উল্লেখ করেন, “বিমসটেক সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে তথ্য ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে এই অপরাধ দমনে কার্যকর কৌশল গড়ে তোলা সম্ভব। বাংলাদেশ আগামী দুই বছরের জন্য এই কমিটির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় আমরা কৃতজ্ঞ। আমাদের জাতীয় উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্ভুক্তিমূলক নেতৃত্বে বিমসটেক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে।”
তিনি বলেন, “এই বৈঠক মানবপাচার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ নীতিনির্ধারণ ও সহযোগিতার ভিত্তি গড়ে দেবে। বিমসটেক অঞ্চলজুড়ে মানবপাচার রোধে এটাই হবে কার্যকর নীতিমালার সূচনা।”
বৈঠকে বিমসটেকের সাত সদস্য রাষ্ট্র—বাংলাদেশ, ভারত, মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, নেপাল ও ভুটানের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়।