শিরোনাম

২৭ বছরের অপেক্ষা ঘোচাতে দ. আফ্রিকার চাই ৬৯ রান

২৭ বছরের অপেক্ষা ঘোচাতে দ. আফ্রিকার চাই ৬৯ রান

চতুর্থ ইনিংসে প্রোটিয়াদের জয়ের লক্ষ্য ২৮২। খুব বড় নয়! কিন্তু এবারের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পেসারদের দাপটের মুখে আগের তিন ইনিংসে যেভাবে মুখ থুবড়ে পড়েছেন ব্যাটাররা, সেই হিসেবে এই লক্ষ্য শুধু ‘বড়’ই নয়, একরকম দুরতিক্রম্যও! সেই লক্ষ্য তাড়ায় যেভাবে ‘দুর্গম গিরি কান্তার মরু’ পেরিয়ে এগিয়েছে প্রোটিয়ারা, তাতে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য এখন তাদের নাগলেই। ২৭ বছরের অপেক্ষা ঘুচিয়ে ফাইনাল জয়ের জন্য আজ চতুর্থ দিনে তাদের চায় ৬৯ রান, হাতে ৮ উইকেট।

২ উইকেটে ২১৩ রান তুলে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। চতুর্থ ইনিংসে লক্ষ্য তাড়ায় প্রোটিয়াদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন এইডেন মার্করাম। দ্বিতীয় ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে এসে সেঞ্চুরি ছুঁয়ে ১০২ রানে অপরাজিত আছেন তিনি। হার না মানার ইস্পাতসম মানসিকতা নিয়ে মার্করামের সঙ্গী হিসেবে ৬৫ রান নিয়ে উইকেটে আছেন টেম্বা বাভুমা। রায়ান রিকেলটন (৬) ও উইয়ান মুল্ডারের (২৭) বিদায়ের পর তৃতীয় উইকেটে ব্যাটিং-দৃঢ়তা গড়ে তোলেন মার্করাম-বাভুমা। ১৪৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি তাঁদের। ১১টি চারে ১৫৬ বলে সেঞ্চুরি করেন মার্করাম। টেস্টে এটি তাঁর অষ্টম সেঞ্চুরি, যা জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছে প্রোটিয়াদের।

এর আগে অস্ট্রেলিয়া ২০৭ রানে দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট হলে জয়ের জন্য ২৮২ রানের লক্ষ্য পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। অস্ট্রেলিয়ার এই ইনিংসে ব্যাটিং-দৃঢ়তা দেখিয়েছেন টেল এন্ডার মিচেল স্টার্ক। ৯ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৩৬ বল খেলে ইনিংস সর্বোচ্চ ৫৮ রান করেন তিনি। ৭৩ রানে অস্ট্রেলিয়া ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলার পরও স্টার্কের এই দৃঢ়তাপূর্ণ ব্যাটিং। সব সংস্করণ মিলিয়ে আইসিসির প্রতিযোগিতায় নকআউট ম্যাচে ৯ নম্বরে বা এর নিচে ব্যাটিংয়ে নেমে ফিফটি করা প্রথম ব্যাটসম্যান তিনিই। এ ক্ষেত্রে আগের সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল ৪৩, যা ২০১৩ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১০ নম্বরে নেমে করেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার রোরি ক্লাইনভেল্ট।

রেকর্ড ইনিংসটির পথে অষ্টম উইকেটে অ্যালেক্স কেয়ারির সঙ্গে ৮৫ বলে ৭১ এবং দশম উইকেটে জশ হেজেলউডের (৫৩ বলে ১৭) সঙ্গে ১৩৫ বলে ৫৯ রানের জুটি গড়েন স্টার্ক। আইসিসির কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনালে দশম উইকেটে এটি সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ডও। আগের রেকর্ড জুটি ছিল ডেনিস লিলি ও জেফ থমসনের ৪১ রানের, ১৯৭৫ সালে প্রথম ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে লর্ডসে তা গড়েছিলেন তাঁরা।

দক্ষিণ আফ্রিকা ফাইনাল জিততে পারে না! আর এই না পারার জন্যই ‘চোকার’ অপবাদ দলটির। তবে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের আগে দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট দলের কোচ শুক্রি কনরার্ড স্পষ্টই জানিয়ে দিয়েছিলেন, ‘ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা পারে না’র অপবাদ তিনি ও তাঁর দল মাথা পেতে নেবেন না। কেন নেবেন না, সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছিলেন, ‘আগের কোনো ব্যর্থতার বোঝা এই দলের ওপর চাপিয়ে দেওয়াটা অন্যায়। আমরা জানি, আমাদের আরেকটি আইসিসি ইভেন্ট জয় করতে হবে এবং সেটা দরকারও।’

সেই তাগিদ থেকেই কি টেস্ট এবারের ফাইনালে অন্য দক্ষিণ আফ্রিকা!



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button