আওয়ামী লিগ’সহ পাঁচ দলের নামে ইসিতে নিবন্ধন আবেদন


ক্রাইম জোন ২৪।। নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নিবন্ধনের জন্য ‘আওয়ামী লিগ’ নামসহ মোট পাঁচটি দলের আবেদন জমা পড়েছে। তবে নিবন্ধনের নামে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগ উঠছে এসব দলের বিপক্ষে। নির্বাচন সামনে রেখে নতুন দল গঠনের ঘোষণা থাকলেও বাস্তবে ইসিতে আবেদন পড়েছে মাত্র হাতে গোনা কয়েকটি দলের। নিবন্ধনের শেষ সময় ঘনিয়ে এলেও সাড়া মিলছে না আগ্রহীদের কাছ থেকে।
ইসির তথ্য অনুযায়ী, চলতি মাসের ২০ এপ্রিল পর্যন্ত নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের জন্য আবেদন করার সুযোগ রয়েছে। এ পর্যন্ত যেসব দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে—‘আওয়ামী লিগ’, ‘আমজনতার দল’, ‘নতুন বাংলা’, ‘সম্মিলিত ইসলামী ঐক্যজোট’ ও ‘গণতান্ত্রিক নাগরিক শক্তি’। নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব কেএম আলী নেওয়াজ জানিয়েছেন, ২৫ মার্চ ‘আওয়ামী লিগ’ নামের একটি দলের নিবন্ধন আবেদন প্রথম জমা পড়ে।
তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ বলছেন, ‘আওয়ামী লিগ’ নামটি নির্বাচন কমিশনে আগে থেকেই নিবন্ধিত একটি ঐতিহ্যবাহী দলের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ হওয়ায় এটি ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াতে পারে। একইভাবে অন্যান্য দলের নাম নিয়েও রয়েছে বিভ্রান্তির আশঙ্কা।
কমিশন সূত্রে জানা যায়, আলোচিত নতুন রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)’ এখনও কোনো নিবন্ধন আবেদন করেনি। দলটির পক্ষ থেকে সময় বাড়ানোর জন্য ইসিকে অনুরোধ জানানো হবে বলে জানা গেছে। এনসিপি ২৮ ফেব্রুয়ারি আত্মপ্রকাশ করে এবং একটি ‘নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত’-এর ঘোষণা দেয়। জুলাই অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে গঠিত হয় দলটি।
এদিকে, নির্বাচন কমিশনের জারি করা গণবিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা হাইকোর্ট এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের জন্য স্থগিত করেন। এরপর থেকে অনেক দল নিবন্ধনে অনাগ্রহ দেখাতে শুরু করে।
নির্বাচনী সহায়তা ও সমন্বয় শাখার কর্মকর্তারা জানান, ডেসপাসে কয়েকটি আবেদন জমা পড়লেও বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট শাখায় পৌঁছায়নি। ফলে বর্তমানে প্রকৃত আবেদনকারীর সংখ্যা ও তাদের যোগ্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মোট ৯৮টি নিবন্ধন আবেদন জমা পড়েছিল। এখন পর্যন্ত ৫৫টি দলকে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে ৫টি বাতিল করা হয়েছে। বর্তমানে ৫০টি দল নির্বাচন কমিশনে বৈধভাবে নিবন্ধিত রয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, দলের নাম নিয়ে জটিলতা বা রাজনৈতিক বিভ্রান্তি তৈরির যে প্রবণতা এবার স্পষ্ট হচ্ছে, তা গণতন্ত্রের জন্য অশনি সংকেত হতে পারে।