ভয়ংকর যুদ্ধের প্রস্তুতিতে পুতিন! ইউরোপজুড়ে সংঘাতের আশঙ্কা


ক্রাইম জোন ২৪।। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বড় ধরনের একটি যুদ্ধের পরিকল্পনা করছেন—এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছে জার্মান সামরিক গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। ইউরোপের তিনটি শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমের যৌথ অনুসন্ধান প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, পশ্চিমা জোট ন্যাটো ও ইউরোপীয় দেশগুলোর বিরুদ্ধে রাশিয়া একটি প্রচলিত যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
জার্মান গোয়েন্দা সংস্থার (BND) দাবি, ক্রেমলিন অভ্যন্তরে দ্রুত গতিতে সামরিক শক্তি বৃদ্ধির কাজ চলছে। ২০২৫ সালের মধ্যে রাশিয়ার সামরিক বাজেট দাঁড়িয়েছে ১২০ বিলিয়ন ইউরোতে—যা চার বছর আগের তুলনায় প্রায় চার গুণ বেশি। সেইসঙ্গে সেনাবাহিনীকে ১৫ লাখ সদস্যে উন্নীত করার লক্ষ্য নিয়েছে মস্কো।
বিশ্লেষকদের মতে, ইউক্রেন যুদ্ধে যে সাম্রাজ্যবাদী উচ্চাকাঙ্ক্ষার সূচনা হয়েছিল, সেটির চূড়ান্ত পরিণতি হতে পারে পুরো ইউরোপকে কেন্দ্র করে এক ভয়াবহ যুদ্ধ। যদিও এখনই ন্যাটোর সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে জড়ানোর মত সামর্থ্য রাশিয়ার নেই, তবে লিথুয়ানিয়ার গোয়েন্দা বিভাগ VSD জানিয়েছে, মস্কো সীমিত পরিসরে ন্যাটোর একাধিক দেশের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে পারে।
জার্মান গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়া শুধু সামরিক শক্তি নয়, কূটনৈতিকভাবেও মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে নিজের অবস্থান শক্ত করছে। ইরানের সঙ্গে সম্প্রতি হওয়া প্রতিরক্ষা চুক্তি অনুযায়ী, অত্যাধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম পাচ্ছে তেহরান। সম্ভাব্য মার্কিন হামলার আগেই তেহরানকে পাশে পাচ্ছে মস্কো।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুঁশানি এবং ইরান ঘিরে উত্তেজনার কারণে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন সংঘাতের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় রাশিয়ার যুদ্ধ পরিকল্পনা বৈশ্বিক নিরাপত্তার জন্য নতুন হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।
BND’র তথ্যমতে, পুতিন হয়তো NATO সদস্য দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক দায়বদ্ধতা কতটুকু, তা বোঝার জন্যই চাপ সৃষ্টি করতে চাইছেন। অন্যদিকে ন্যাটো প্রধান মার্ক রুট্টে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, রাশিয়া যদি কোনো সদস্য দেশের ওপর হামলা চালায়, তাহলে এর উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে।