কুয়াকাটাকে কেন্দ্র করে বরিশালকে পর্যটন অঞ্চলে রূপান্তরের দাবি এবি পার্টির


ক্রাইম জোন ২৪।।
পটুয়াখালীর কুয়াকাটাকে কেন্দ্র করে সমগ্র বরিশাল বিভাগকে একটি পূর্ণাঙ্গ পর্যটন অঞ্চলে রূপান্তরের দাবি জানিয়েছে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি। দলটির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে কুয়াকাটায় একটি পূর্ণাঙ্গ বিমানবন্দর নির্মাণ জরুরি। পাশাপাশি বরিশাল বিমানবন্দর থেকে ঢাকা, যশোর, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার rউদ্দেশে নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনার ব্যবস্থা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, নিরাপদ ও আধুনিক পর্যটনশিল্প গড়ে তুলতে স্থানীয় অবকাঠামো উন্নয়নের দিকে নজর দিতে হবে। ব্রিটিশ আমল থেকে চলমান ঐতিহ্যবাহী স্টিমার সার্ভিস—এমভি বাঙালি, মধুমতি, পিএস মাসুদ, অসট্রিচ, টার্ন/ল্যাপচা—যেসব একসময় ঢাকা, কলকাতা ও বরিশালের মধ্যে যাতায়াত করত, সেগুলো পুনরায় চালু করার উদ্যোগ নিতে হবে। এতে করে দক্ষিণাঞ্চলে সাগরভিত্তিক পর্যটনের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।
রবিবার (১ জুন) এবি পার্টি এসব দাবিসহ বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন উপদেষ্টা শেখ আকিজ উদ্দিনের কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলটির বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী নাসির, বরিশাল সোসাইটির আহ্বায়ক আমানুল্লাহ খান নোমান ও সহ-অর্থ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক।
স্মারকলিপি প্রদানকালে ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, “সরকার সম্প্রতি সিদ্ধান্ত নিয়েছে পদ্মা সেতুর পরবর্তী অংশ হিসেবে ভাঙ্গা থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীত করা হবে, যা এ অঞ্চলের জনসাধারণ ও ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক পদক্ষেপ।”
এছাড়া তিনি আরও বলেন, বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার মীরগঞ্জে একটি সেতু নির্মাণ করে মুলাদী, হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার সঙ্গে বরিশাল শহরের সড়ক যোগাযোগ স্থাপন করায় বরিশালবাসী কৃতজ্ঞ। এই দুটি মেগা প্রকল্পকে ঘিরে একটি দৃষ্টিনন্দন ও আন্তর্জাতিকমানের পর্যটন হাব গড়ে তোলার দাবিও জানান তিনি।
এবি পার্টির মতে, যেহেতু এই এলাকাগুলোর সরকারি জমি অধিগ্রহণের কাজ ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে, তাই এখনই পরিকল্পিতভাবে পরিবেশবান্ধব পর্যটন অবকাঠামো গড়ে তোলা সম্ভব, যা তুলনামূলকভাবে কম খরচে বাস্তবায়নযোগ্য।
স্মারকলিপি গ্রহণকালে উপদেষ্টা শেখ আকিজ উদ্দিন এবি পার্টির প্রস্তাবগুলো গুরুত্বের সঙ্গে শোনেন এবং জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের আর্থিক সীমাবদ্ধতা ও ঋণনির্ভর রাষ্ট্রীয় নীতিমালার কারণে কিছুটা চ্যালেঞ্জ থাকলেও এই দাবিগুলোর বাস্তবতা ও সম্ভাবনা বিবেচনায় নেওয়া হবে।