বরিশালে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ: মামলা তুলতে চাপ, ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ধামাচাপার অভিযোগ


বরিশাল সদর উপজেলার চর বুখাইনগর এলাকায় এক সন্তানের জননীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত যুবক হলেন চরমোনাই ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আনসার আকনের ছেলে মো. কাওছার আকন (৩০)। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. কামাল হোসেন মেম্বারের বিরুদ্ধে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে অর্থ লেনদেনের চেষ্টা এবং ভুক্তভোগী পরিবারকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী নারীর স্বামী মো. জুয়েল প্যাদা জানান, কাওছার তার খালাতো ভাই। এ কারণে তার বাড়িতে যাতায়াত ছিল। গত ২০ মার্চ সকালে তিনি কাজের জন্য বাইরে গেলে ঘরে একা থাকা তার স্ত্রীকে কাওছার বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ধর্ষণ করে। বিষয়টি তিনি নিজেই হাতেনাতে ধরে ফেলেন। কিন্তু তখন ইউপি সদস্য কামাল মেম্বার এসে কাওছারকে ছেড়ে দিতে চাপ দেন এবং হুমকি দেন।
পরবর্তীতে থানায় মামলা করতে গেলে ইউপি সদস্য কামাল বিচার করে দিবেন বলে আশ্বাস দিয়ে দিনের পর দিন সময় ক্ষেপণ করেন। অবশেষে ২৪ এপ্রিল বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি মডেল থানায় ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন জুয়েল প্যাদা।
মামলার পর ইউপি সদস্য কামাল মেম্বার ক্ষিপ্ত হয়ে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দেন বলে অভিযোগ করেন জুয়েল। তিনি জানান, “আমার সুখের সংসার যারা নষ্ট করছে, তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কাছে আইনি পদক্ষেপ ও নিরাপত্তার জোর দাবি জানাই।”
ভুক্তভোগী নারী বলেন, “ধর্ষক কাওছার আকন প্রকাশ্যে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে, অথচ পুলিশ এখনো তাকে গ্রেপ্তার করেনি।”
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. কামাল মেম্বারের বিরুদ্ধে আগেও বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে বলে দাবি এলাকাবাসীর। এ বিষয়ে তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, “ধর্ষণের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। তবে অভিযুক্ত এখনো পলাতক। তাকে গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”