ছাত্রলীগ নেতাকে জিম্মি করে চাঁদা দাবি, ধরা খেলেন ছাত্রদল পরিচয়ধারী ৩ জন


বরিশালে ছাত্রলীগের এক নেতাকে জিম্মি করে মোটা অঙ্কের চাঁদা আদায়ের চেষ্টাকালে ছাত্রদল পরিচয়ধারী তিন ব্যক্তি পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন। এ সময় জিম্মি হওয়া ছাত্রলীগ নেতাকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে জানা যায়, ওই ছাত্রলীগ নেতা আগের একটি মামলার আসামি, ফলে তাকেও গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া তিন ব্যক্তি হলেন বরিশাল নগরীর ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা জহিরুল ইসলাম প্রিন্স, সৈয়দ সাইফুল ইসলাম সুজন (৪০) এবং সোলায়মান সুজন (৪০)। তারা মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রেজাউল হক রনির ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। অভিযুক্তরা নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা, মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান শাকিলকে জিম্মি করে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।
শাকিলের ভাই হাফিজুর রহমান শামীম জানান, বৃহস্পতিবার সকালে চকবাজার এলাকা থেকে শাকিল ও তাকেও ধরে নিয়ে যায় তিন যুবক। পরে হাটখোলা এলাকার একটি বাসায় আটকে রেখে পুলিশে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ১০ লাখ টাকা দাবি করা হয়। চাপে পড়ে ছয় লাখ টাকা দিতে রাজি হলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় টাকা আনার জন্য। সুযোগ পেয়ে তিনি ডিবি পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে শাকিলকে উদ্ধার এবং অভিযুক্ত তিনজনকে আটক করে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছগির হোসেন বলেন, “শাকিলের বিরুদ্ধে আগের কয়েকটি মামলা রয়েছে। মেহেন্দিগঞ্জ থানা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে তাদের কাছে হস্তান্তরের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। অপর তিনজনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করা হয়েছে।”
এ বিষয়ে মহানগর ছাত্রদল সভাপতি রেজাউল হক রনি দাবি করেন, “গ্রেপ্তারকৃতরা ছাত্রদলের কোনো সাংগঠনিক পদে নেই। তারা অপরাধে জড়িত থাকলে তার দায় সংগঠন নেবে না।”