শতকোটি টাকার পাওনা বকেয়া রেখেই ‘দেশ ছাড়লেন’ ফ্লাইট এক্সপার্টের মালিকেরা


দেশের অন্যতম জনপ্রিয় অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি ফ্লাইট এক্সপার্টের কার্যক্রম হঠাৎ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে; যা উদ্বেগে ফেলেছে এর গ্রাহক ও পর্যটন এজেন্টদের। অভিযোগ উঠেছে, পর্যটন এজেন্সি, বিটুবি এজেন্ট ও গ্রাহকদের শতকোটি টাকার পাওনা না দিয়েই কোম্পানিটি বন্ধ করে এর মালিকেরা দেশ ছেড়ে কানাডায় চলে গেছেন।
আজ শনিবার সকাল থেকে ফ্লাইট এক্সপার্টের ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপ বন্ধ পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে, কোম্পানিটি বন্ধ করে এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সালমান বিন রশিদ শাহ সাইম ও তাঁর বাবা মক্কা গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ রশিদ শাহ সম্রাট গোপনে কানাডায় পাড়ি জমিয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না।
দেশের বিভিন্ন পর্যটন এজেন্সি, বিটুবি এজেন্ট ও সাধারণ গ্রাহকেরা দাবি করছেন, ফ্লাইট এক্সপার্টের কাছে তাঁদের শতকোটি টাকার বেশি পাওনা রয়েছে। অনেকে এরই মধ্যে টাকা পরিশোধ করেও টিকিট, হোটেল বুকিংসহ অন্যান্য সেবা পাননি।
এ ছাড়া আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন সংস্থা আইএটিএর কাছে বিশাল অঙ্কের অর্থ বকেয়া রেখেছে ফ্লাইট এক্সপার্ট।
এসব নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
২০১৬ সালে যাত্রা শুরু করা ফ্লাইট এক্সপার্ট দ্রুত সময়ের মধ্যে দেশের অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি খাতে পরিচিত নাম হয়ে ওঠে। কোম্পানিটি বিমানের টিকিট বুকিং, হোটেল রিজারভেশন, ট্যুর প্যাকেজ, ভিসা সহায়তাসহ নানা সেবা দিত।
এর আগে হালট্রিপ এবং টোয়েন্টিফোরটিকেটিডটকমের মতো অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সিও গ্রাহকের অর্থ নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ধরনের ঘটনা বারবার ঘটলেও পর্যাপ্ত নজরদারি বা নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থা না থাকায় বিপদে পড়ছে সাধারণ মানুষ।