কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলন, শাস্তির মুখে বিএনপির আরও ৪ নেতা


ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে বিএনপির মহাসচিবের ভাইয়ের গাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনায় দুই বিএনপি নেতাকে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনে অংশ নিয়ে শাস্তির মুখে পড়েছেন আরও চার নেতা। এর মধ্যে দুজনকে সাংগঠনিক পদ থেকে অব্যাহতি এবং দুজনকে শোকজ করে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
১ আগস্ট ঠাকুরগাঁও জেলা জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাসুদুল ইসলাম মুন্না ও সদস্যসচিব কামরুজ্জামান কামুর স্বাক্ষরিত পত্রে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জুলফিকার আলি শাহ ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ চৌধুরীকে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে তিন কার্য দিবসের মধ্যে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
একই দিনে ঠাকুরগাঁও জেলা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক ইমরান মাহমুদের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ সাপেক্ষে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইলিয়াস আলি ও সাদ্দাম হোসেনকে সাংগঠনিক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
গত ১২ জুলাই বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপির সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিবের ভাইয়ের গাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সুপারিশে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আইনজীবী মো. সৈয়দ আলম ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক ড. টি এম মাহবুবুর রহমানকে প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় কমিটি।
এর পর থেকে ৩০ জুলাই বিক্ষোভ সমাবেশ, পরের দিন ৩১ জুলাই মানববন্ধন ও সর্বশেষ গতকাল ২ আগস্ট অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন দলটির নেতা-কর্মীরা।
উল্লেখ্য, ১২ জুলাই ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে ভোটের মাধ্যমে বিএনপির কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতি পদে ফল নিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে বিএনপির মহাসচিবের ভাই জেলার সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন এসে ফল ঘোষণা করেন। ফেরার সময় কে বা কাহারা তাঁর ওপর হামলা এবং তাঁকে বহনকারী গাড়িতে ভাঙচুর করে।
পরে ১৩ জুলাই বিকেলে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলি সংবাদ সম্মেলন করে কাউন্সিলের ফল স্থগিত ঘোষণা করেন এবং জেলা বিএনপির সভায় দুই নেতাকে বহিষ্কারের সুপারিশ করে কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে পাঠান।