যুবদলের নামে দখল বাণিজ্য ও চাঁদাবাজি: কেন্দ্রীয় নেতাদের দায় এড়ানোর চেষ্টা?


ক্রাইম জোন ২৪।। যুবদলের নাম ব্যবহার করে অবৈধ দখল বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায়। বিশেষ করে গুলিস্তানসহ শহরের ফুটপাত ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চাঁদাবাজি ও দখল কার্যক্রমের সঙ্গে যুবদলের কর্মীদের জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। যদিও সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব দায় এড়াতে দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছে, বাস্তবে এসব কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
সোমবার (১৭ মার্চ) যুবদলের সহদপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূইয়া স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়, কিছু দুষ্কৃতকারী সংগঠনের নাম ব্যবহার করে অবৈধ দখল-বাণিজ্যে লিপ্ত রয়েছে, যা দলের ইমেজ ক্ষুণ্ণ করছে। তবে প্রশ্ন থেকে যায়, দীর্ঘদিন ধরে চলা এই চাঁদাবাজি ও দখল কার্যক্রম কেনো থামানো হচ্ছে না?
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ফুটপাতের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রভাবশালী চক্র সক্রিয় রয়েছে। এদের মধ্যে যুবদলের নাম ভাঙিয়ে কিছু ব্যক্তি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের চাঁদা আদায় করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি দখল ও চাঁদাবাজির ফলে প্রায়ই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে।
যুবদলের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দলের পরিচয় ব্যবহার করে কেউ দখল-বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু বিশ্লেষকদের মতে, এসব কার্যক্রম যুবদলের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের প্রশ্রয়েই চলছে, ফলে সাধারণ জনগণ ও ব্যবসায়ীরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
দখল বাণিজ্য ও চাঁদাবাজির ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা বলছেন, যুবদল নেতাদের ছত্রছায়ায় দুষ্কৃতকারীরা এমন কার্যক্রম চালালেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। অনেক ক্ষেত্রে পুলিশের কিছু অসাধু সদস্য এই দখল বাণিজ্য থেকে সুবিধা নিচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
যুবদল কেন্দ্রীয় নেতারা জনগণকে অনুরোধ করেছেন, সংগঠনের নাম ব্যবহার করে কেউ দখল বাণিজ্যে জড়িত থাকলে তাৎক্ষণিকভাবে যুবদলের দপ্তরে জানানোর জন্য। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, দীর্ঘদিন ধরে চলমান এই অবৈধ কার্যক্রম এখনো কেনো বন্ধ হয়নি?
ক্রাইম জোন ২৪-এর অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, রাজধানীর গুলিস্তান, মতিঝিল, পল্টন ও অন্যান্য ব্যস্ত এলাকায় দখল ও চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত গোষ্ঠীগুলো মূলত রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকে। ফলে সাধারণ ব্যবসায়ীরা তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস পান না।
যুবদল নেতারা দায় এড়ানোর চেষ্টা করলেও বাস্তবে দখল বাণিজ্য ও চাঁদাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করার সুযোগ নেই। এই চক্রের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া না হলে সাধারণ জনগণ আরও ক্ষতির মুখে পড়বে।