শিরোনাম

জাতীয় পার্টির সাবেক এমপির পক্ষে বিএনপি নেতার প্রত্যয়ন!

জাতীয় পার্টির সাবেক এমপির পক্ষে বিএনপি নেতার প্রত্যয়ন!

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপুর বিরুদ্ধে ভোটকেন্দ্র দখল করে এমপি হওয়ার অভিযোগ এনে মামলা করেছিলেন বাবুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির এক নেতা। বাবুগঞ্জের দেহেরগতি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন হেমায়েত এবার টিপুকে নির্দোষ উল্লেখ করে প্রত্যয়নপত্র দিয়ে এজাহার থেকে নাম প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন বলে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। টিপুর কাছ থেকে হেমায়েত টাকা নিয়েছেন কি না, এমন মন্তব্য করেছেন কেউ কেউ।

ছড়িয়ে পড়া প্রত্যয়নপত্রে উল্লেখ রয়েছে, ‘সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপুকে মামলার ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে ঘটনার তারিখ ও সময়ে তিনি (টিপু) ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না। তিনি একজন নিরপরাধ, প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক। তাঁর নাম এজাহার থেকে কর্তন, জামিনে মুক্ত ও মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দিলে আমার কোনো আপত্তি নেই এবং ভবিষ্যতে কোনো আপত্তি উত্থাপন করব না। আমি তাঁর উজ্জল ভবিষ্যৎ, সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।’

প্রসঙ্গত, সাবেক এমপি টিপুকে আসামি করে গত ২১ নভেম্বর বাবুগঞ্জ থানায় মামলা করেন আনোয়ার হোসেন হেমায়েত। মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর ভোটের দিন জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের ঠাকুরমল্লিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ছিলেন তিনি। বিকেলে টিপুর নেতৃত্বে অন্য আসামিরা কেন্দ্র দখল করে ধানের শীষের কর্মীদের রক্তাক্ত জখম ও কেন্দ্র থেকে বের করে দেন। এ সময় কয়েকটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয় এবং টিপু তাঁর পিস্তল বের করে ভয়ভীতি দেখান।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন ২০১৮ সালের নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী ওয়ার্কার্স পার্টির শেখ টিপু সুলতান, স্বতন্ত্র প্রার্থী আতিকুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম খালেদ হোসেন স্বপন, সাধারণ সম্পাদক মৃধা আক্তার হোসেন মিলন, জাতীয় পার্টির সভাপতি মুকিতুর রহমান কিসলু, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ফারজানা বিনতে ওহাব, কাজী ইমদাদুল হক দুলাল ও মাধবপাশা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান।

এ বিষয়ে বাবুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম প্রিন্স জানান, তিনিও কয়েক দিন ধরে এমন খবর শুনছেন। দলীয় সভায় আনোয়ার হোসেন হেমায়েতকে ডেকে জানতে চাওয়া হবে। আগামীকাল বুধবার আদালত থেকে কাগজপত্র তুলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হেমায়েত এমন অপকর্ম করলে তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান প্রিন্স।

তবে মামলার বাদী ও বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন হেমায়েত বলেন, তিনি সাবেক এমপি টিপুর অব্যাহতি চেয়ে কোনো প্রত্যয়নপত্র দেননি। এটা ডাহা মিথ্যা। এ বিষয়ে তিনি আইনি ব্যবস্থা নেবেন।

এ ব্যাপারে বাবুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম জানান, তিনি সাবেক এমপি টিপুকে অব্যাহতি চাওয়ার মতো এ ধরনের কোনো প্রত্যয়নপত্র পাননি।



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button