শিরোনাম

বাউফলে ৩ নেতার নেতৃত্বে বিএনপির আলাদা মিছিল

বাউফলে ৩ নেতার নেতৃত্বে বিএনপির আলাদা মিছিল

পটুয়াখালীর বাউফলে আবারও রাজনৈতিক অঙ্গনে সরব হয়ে উঠেছেন বিএনপির বিতর্কিত ও বহিষ্কৃত নেতা-কর্মীরা। গত বছরের ৫ আগস্ট দলের শৃঙ্খলাভঙ্গ ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের দায়ে বহিষ্কৃত নেতাদের বিএনপির মিছিল ও সভা-সমাবেশে অংশগ্রহণ নিয়ে স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে সমালোচনা শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে ইসলামী আন্দোলনের বিজয় মিছিলে আওয়ামী লীগের সাবেক এক নেতার উপস্থিতি নিয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) শেখ হাসিনা সরকারের পতনের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে বাউফলে বিএনপির তিনটি পক্ষ, জামায়াত এবং ইসলামী আন্দোলন পৃথকভাবে বিজয় মিছিলের আয়োজন করে। দিনটিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহদপ্তর সম্পাদক মুহাম্মদ মুনির হোসেন, সাবেক সংসদ সদস্য শহিদুল আলম তালুকদার এবং কেন্দ্রীয় নেতা এ কে এম ফারুক তালুকদার নিজ নিজ অনুসারীদের নিয়ে আলাদা মিছিল করেন।

দলীয় ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শহিদুল আলম তালুকদারের মিছিলে দেখা যায়, আলোচিত সিএনজি চোর চক্রের হোতা মো. সানুকে, যিনি অতীতে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। অনৈতিক কর্মকাণ্ডের দায়ে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়। একইভাবে দল থেকে অব্যাহতি পাওয়া জসিম উদ্দিনকেও শহিদুল আলম তালুকদারের সভায় বক্তৃতা দিতে দেখা যায়।

বিষয়টি জানতে চাইলে শহিদুল আলম তালুকদার সাংবাদিকদের বলেন, ‘সানুর বহিষ্কারের বিষয়টি আমার জানা ছিল না। আর এত বড় মিছিলে কে এল, কে এল না, সেটা খেয়াল রাখা সম্ভব নয়। যেহেতু তাঁরা দল করেন, আসতেই পারেন।’

অন্যদিকে এ কে এম ফারুক তালুকদারের মিছিলে নেতৃত্ব দিতে দেখা যায় হুমায়ুন কবিরকে, যিনি ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে পৌর বিএনপির সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি পেয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন উপজেলা বিএনপির বহিষ্কৃত সদস্যসচিব মো. অলিয়ার রহমান, নাজিরপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এনায়েত হোসেন খান ও আলোচিত মাদক কারবারি আবদুল মালেক।

এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান টোটন বলেন, যাঁরা দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ বা অনৈতিক কর্মকাণ্ডের দায়ে বহিষ্কৃত, তাঁদের কোনোভাবেই বিএনপির ব্যানারে মিছিল বা সভায় নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ নেই। কেউ যদি এমন কাউকে আশ্রয় দেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

একই দিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ইসলামী আন্দোলনের ব্যানারে একটি বিজয় মিছিল বের হয় বাউফল সরকারি কলেজ মাঠ থেকে। তবে এই মিছিলে ব্যানার হাতে দেখা যায়, একসময়ের আওয়ামী লীগের নেতা, বাংলাদেশ কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এস এম ইউসুফকে। তাঁর এই অংশগ্রহণ ঘিরে স্থানীয় মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা মুনতাসির তাসরিফ লামিম বলেন, এস এম ইউসুফ একজন বিতর্কিত চরিত্র। তিনি ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর। বিজয় মিছিলে তাঁর উপস্থিতি প্রশ্নবিদ্ধ।

ইসলামী আন্দোলনের বাউফল উপজেলা সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম সিকদার বলেন, ‘উনি (ইউসুফ) নিজে নিজেই মিছিলে ঢুকে পড়েছেন। কেউ তাঁকে দাওয়াত দেয়নি। আমরা ভবিষ্যতে সতর্ক থাকব।’



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button