শিরোনাম

নারীর ওপর হামলার ২ ভিডিও ভাইরাল, ইরানে ক্ষোভের ঝড়

নারীর ওপর হামলার ২ ভিডিও ভাইরাল, ইরানে ক্ষোভের ঝড়

ইরানে নারীদের ওপর দুইটি পৃথক সহিংস হামলার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেশজুড়ে এবং আন্তর্জাতিক পরিসরে তীব্র প্রতিক্রিয়ার তৈরি হয়েছে। একটি ভিডিওতে রাস্তায় এক নারীকে ভয়াবহভাবে নির্যাতন এবং অপরটিতে একটি পেশাদার সভায় নারীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। উভয় ঘটনাকেই ইরানে নারীদের বিরুদ্ধে চলমান কাঠামোগত নিপীড়নের প্রতীক হিসেবে দেখা হচ্ছে।

ইরান ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, সোমবার (৪ আগস্ট) ইরানি সাংবাদিক ও নারী অধিকারকর্মী মাসিহ আলিনেজাদ একটি ভিডিও শেয়ার করেন। এতে দেখা যায়, দক্ষিণ ইরানের গাচসারান শহরে একজন পুরুষ রাস্তায় একজন নারীকে লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দেন।

আলিনেজাদ জানান, ওই ব্যক্তি এমন নারীদের ওপর হামলা করছিলেন যারা বাধ্যতামূলক হিজাব আইন মেনে চলছিলেন না। হামলাকারীর পরনে ছিল সামরিক ধাঁচের পোশাক। এই পোশাক ইরানের বেসিজ (বাসিজ) নামে পরিচিত অভ্যন্তরীণ নজরদারি বাহিনীর সদস্যদের পরনে থাকে।

আলিনেজাদ এক্স মাধ্যমে লিখেছেন, ‘এই ব্যক্তি একক হামলাকারী নন। সে এমন একটি ব্যবস্থার ফলাফল, যেখানে পুরুষদের নারীদের ওপর নজরদারি, শাস্তি এবং অপমান করার জন্য প্রশিক্ষিত করা হয়।’

তিনি এই হামলাকে ‘রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত লিঙ্গ-ভিত্তিক বর্ণবাদ’ হিসেবে আখ্যা দেন।

এ ছাড়াও আলিনেজাদ পশ্চিমা দেশগুলোর সমালোচনা করেন যারা এখনো ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রেখেছে। তাঁর মতে, এটি ইরানের নারীবিদ্বেষী নীতিকে বৈধতা দেওয়ারই নামান্তর।

অন্য ভিডিওতে ইশফাহান বিল্ডিং ইঞ্জিনিয়ারিং অর্গানাইজেশনের বার্ষিক সাধারণ সভার একটি ঘটনা দেখা গেছে। সেখানে এক নারী সদস্য সংস্থাটির আর্থিক কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। পরে তাঁকে প্রকাশ্যে শারীরিকভাবে আক্রমণ করেন এক পুরুষ অংশগ্রহণকারী। এই ঘটনাটিও ভিডিওতে ধরা পড়ে এবং সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটায়।

এই ঘটনাগুলো ইরানে নারীদের অধিকার নিয়ে চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে সামনে এসেছে। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ২২ বছর বয়সী মাহসা আমিনির পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর পর থেকে দেশব্যাপী প্রতিবাদ শুরু হয়।

মাহসাকে ইরানের নীতি-পুলিশ আটক করেছিল হিজাব আইনের অভিযোগে। তাঁর মৃত্যু ইরানে ব্যাপক বিক্ষোভের জন্ম দেয়, যার জবাবে কর্তৃপক্ষ কঠোর দমননীতি চালায়। এতে শত শত মানুষ নিহত হন এবং হাজার হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়।



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button