‘উপদেষ্টাদের নিয়ে বক্তব্য অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের নয়’


বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের অনুষ্ঠানে উপদেষ্টাদের নিয়ে যে বক্তব্য এসেছে তা এই অ্যাসোসিয়েশনের বক্তব্য নয় বলে জানিয়েছে প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তাদের সংগঠনটি।
আজ শনিবার রাতে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম ও মহাসচিব শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত সেমিনার নিয়ে সংগঠনটির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রত্যাশা ও আগামী দিনের জনপ্রশাসন শীর্ষক সেমিনার সম্পর্কিত উপদেষ্টাদের নিয়ে দু-একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও প্রচারিত নেতিবাচক সংবাদটি সেমিনারের আয়োজক বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে।
সেমিনারের বিষয়বস্তু সম্পর্কিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রেরণ করা হয়। প্রেরিত বিজ্ঞপ্তির আলোকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ করলেও দু-একটি গণমাধ্যমে সেমিনারের মূল প্রবন্ধ ও বিষয়বস্তুর বাইরে উপদেষ্টাদের নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে যা অ্যাসোসিয়েশনের বক্তব্য নয়।
সেমিনারটি একাডেমিক বিষয় নিয়েছিল জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এতে বিভিন্ন পর্যায়ের বিজ্ঞজনেরা দেশের জনপ্রশাসনের গতিপ্রকৃতি ও প্রত্যাশা নিয়ে তাঁদের নিজস্ব বক্তব্য দেন, অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্খার আলোকে আগামী দিনের জনপ্রত্যাশার ও জনপ্রশাসন নিয়ে অনেক ইতিবাচক-নেতিবাচক, আত্মসমালোচনা ও গঠনমূলক বক্তব্য, পরামর্শ ও প্রত্যাশা উঠে আসে। সেমিনারে জুলাই গণঅভূত্থানের শহীদ পরিবারের চারজন সদস্যও তাদের প্রত্যাশা ও আকাঙখা ব্যক্ত করেছেন। অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক প্রেরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সেসব বিষয় উল্লেখ করা হয়। এটাই অ্যাসোসিয়েশনের বক্তব্য।’
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন মনে করে, বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন। দৃশ্যমান সংস্কার কার্যক্রমসহ অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান গ্রহণ করে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা দিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের আটজন উপদেষ্টার সীমাহীন দুর্নীতির প্রমাণ নিজের কাছে রয়েছে বলে শুক্রবার ওই অনুষ্ঠানে দাবি করেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার, যিনি বর্তমানে অফিসার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এবং বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরামের সভাপতি।
বিসিএস ৮২ ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাত্তার বলেন, আমি খুবই হতাশ। আমলাদের চরিত্র না হয় খারাপ হয়ে গেছে। কিন্তু জুলাই আন্দোলনের রক্তের ওপর দিয়ে চেয়ারে বসা অন্তত আটজন উপদেষ্টার সীমাহীন দুর্নীতির তথ্যপ্রমাণ দিতে পারব। গোয়েন্দা সংস্থার কাছে আট উপদেষ্টার দুর্নীতির প্রমাণ রয়েছে। কিন্তু কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
এই আট উপদেষ্টাদের সঙ্গে যোগাযোগ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ ও বদলি হয় না বলে সাত্তার দাবি করলেও ওই উপদেষ্টাদের নাম বলেননি তিনি।