শিরোনাম

ডিপিপি অনুমোদন দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

ডিপিপি অনুমোদন দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) দ্রুত অনুমোদন ও বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায়ে তাঁরা সরকারের কাছে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটামও দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে ১টা ১০ মিনিট পর্যন্ত সিরাজগঞ্জের হাটকুমরুল গোলচত্বরে এ কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা।

মানববন্ধনে অংশ নিয়ে শিক্ষার্থীরা “আমার সোনার বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই”, “আর নয় আশ্বাস, চাই স্থায়ী ক্যাম্পাস”, “নয় বছরের প্রহসন, ভুলে গেলে চলবে না”, “জেগেছে রে জেগেছে রে”, “একশন টু একশন” ও “জ্বালোরে জ্বালোরে আগুন জ্বালো”—এমন নানা স্লোগানে প্রতিবাদ জানান।

এ সময় শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, ডিপিপির অনুমোদন ও বাজেট পাশ আটকে আছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের বিরূপ অবস্থানের কারণে। তাঁরা ওই উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিও জানান।

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২২-২৩ সেশনের শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান বলেন, ‘৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যদি ডিপিপি অনুমোদন না দেওয়া হয়, তাহলে রোববার থেকে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে দেশের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে।’

মানববন্ধনের আগে সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত শাহজাদপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাস–সংলগ্ন পাবনা–ঢাকা মহাসড়কে প্রতীকী ক্লাস করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণে একটি প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়। তখন এর বাজেট ধরা হয়েছিল ৯ হাজার ২০০ কোটি টাকা। একাধিকবার সংশোধনের পর বর্তমানে প্রকল্পের ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৫১৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছে ২০২৫ সালের মার্চ থেকে ২০২৯ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

বর্তমানে বাংলা, সমাজবিজ্ঞান, অর্থনীতি, সংগীত ও ব্যবস্থাপনা—এই পাঁচটি বিভাগে পড়ছেন প্রায় ১ হাজার ২০০ শিক্ষার্থী। তাঁদের পাঠদানে রয়েছেন ৩৪ জন শিক্ষক, ৫৪ জন কর্মকর্তা ও ১০৭ জন কর্মচারী।

তবে এত বড় একটি বিশ্ববিদ্যালয় এখনো শহরের শাহজাদপুর মহিলা কলেজ, সাইফুদ্দিন ইয়াহিয়া ডিগ্রি কলেজ এবং দুটি ভাড়া করা বাড়িতে কার্যক্রম চালাচ্ছে। ফলে পরিকাঠামোর সীমাবদ্ধতা, স্থান সংকট ও পরিবেশগত সমস্যার কারণে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button