মানি লন্ডারিং মামলায় ১০ বছরের সাজা থেকে জি কে শামীম খালাস


ানি লন্ডারিং মামলায় যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ঠিকাদার জিকে শামীমকে ১০ বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। তাঁর করা আপিল মঞ্জুর করে আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি এএসএম আব্দুল মবিন ও বিচারপতি জাবিদ হোসেনের বেঞ্চ এই রায় দেন।
জিকে শামীমের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মোসাদ্দেক বিল্লাহ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হেমায়েত উদ্দিন। আইনজীবী মোসাদ্দেক বিল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই মামলায় বিচারিক আদালতের রায় বাতিল করে অপর সাত আসামিকেও খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।’
মানি লন্ডারিং মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০-এর বিচারক মো. নজরুল ইসলাম ২০২৩ সালের ১৭ জুলাই ঠিকাদার জিকে শামীমকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন। সেই সঙ্গে তাঁর সাত দেহরক্ষীর প্রত্যেককে ৪ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন শামীম।
এর আগে, সাত সশস্ত্র দেহরক্ষীসহ জিকে শামীমকে নিকেতনের নিজ বাসা থেকে ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর আটক করে র্যাব। ওই সময় তাঁর কাছ থেকে প্রায় ২০০ কোটি টাকার এফডিআর চেকসহ বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি অর্থ জব্দ করা হয়। উদ্ধার করা হয় একটি অস্ত্রও। এরপর র্যাব বাদী হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে অস্ত্র, মানি লন্ডারিং ও মাদকের তিনটি মামলা করে।
মানি লন্ডারিং মামলার তদন্ত শেষে ২০২০ সালে জিকে শামীম ও তাঁর সাত দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়। ওই মামলায় জিকে শামীমকে ২০২৩ সালে ১০ বছর কারাদণ্ড দেন আদালত।
জিকে শামীমের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার সম্মানদী ইউনিয়নের দক্ষিণপাড়া গ্রামে। স্কুল জীবনেই ঢাকায় চলে আসেন তিনি। এক সময় জড়িয়ে পড়েন ঠিকাদারি ব্যবসায়। রাজধানীর সবুজবাগ, বাসাবো, মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকার সরকারি কাজসহ গণপূর্ত ভবনের বেশির ভাগ ঠিকাদারিই একসময় তাঁর নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। ঠিকাদারি ব্যবসার আড়ালে ক্যাসিনো ব্যবসায় জড়িয়ে বিত্তশালী হয়ে ওঠেন জিকে শামীম।