ইকুয়েডরে বারে বন্দুকধারীদের হামলা, শিশুসহ নিহত ১৭


ইকুয়েডরের উপকূলীয় শহর এল এমপালমেতে একটি বারে বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ১৭ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে একজন শিশু রয়েছে। গত রোববার, স্থানীয় সময় রাতে এই হামলা হয়। কাতারি সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই হামলায় আরও অন্তত ১১ জন আহত হয়েছে। যদিও বিভিন্ন সূত্রে আহতের সংখ্যা ১৪ জন পর্যন্ত হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর তথ্যমতে, এল এমপালমে শহরটি দেশটির অন্যতম অপরাধপ্রবণ শহর গুয়ায়াকিল থেকে প্রায় ১৬০ কিলোমিটার উত্তরে, গুয়ায়াস প্রদেশে অবস্থিত। দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় জানায়, ঘটনাস্থল থেকে ৪০টিরও বেশি বুলেটের খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, বারের ভেতরে রক্ত ও মৃতদেহ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হঠাৎ করে দুইটি ট্রাকে করে বারে আসে বেশ কয়েকজন হামলাকারী। তাদের কাছে পিস্তল ও রাইফেল ছিল।
তারা আরও জানান, এক কিশোর গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। প্রায় এক কিলোমিটার পর্যন্ত দৌড়ে পালায় সে। তবে, শেষ রক্ষা হয়নি। দৌড়াতে দৌড়াতে রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে মারা যায় সে।
স্থানীয় প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনী এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে। তবে এখনো পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।
বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়, হামলাকারীরা পরে অন্য একটি স্থানে আরও দুজনকে গুলি করে হত্যা করে। বারে গুলি চালানোর সময় তারা ‘অ্যাকটিভ ওলভস!’ বলে চিৎকার করছিল। এটি অঞ্চলটির ‘লোস লোবোস’ নামের একটি অপরাধী চক্রের স্লোগান। দীর্ঘদিন ধরে মাদক পাচার, অপহরণ, চাঁদাবাজি ও অবৈধ খনি পাচার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ‘লোস চোনেরোস’ নামের আরেক গোষ্ঠীর সঙ্গে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ চলে আসছে ‘লোস লোবোস’-এর।