গঙ্গাচড়ায় হিন্দুপল্লিতে হামলার ঘটনায় ১২০০ অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে মামলা


রংপুরের গঙ্গাচড়ার বেতগাড়ি ইউনিয়নের আলদাতপুর ছয়আনি হিন্দুপল্লিতে হামলার তিনদিন পর কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। তিনটি পরিবার ছাড়া সবাই ফিরেছে ঘরে। পাশাপাশি প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর ঘরবাড়ি মেরামত করে দেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে খাদ্যসহায়তা হিসেবে চাল, ডাল, লবণ, চিনি, তেল, মরিচগুঁড়া, হলুদগুঁড়া, ধনিয়াগুঁড়া দেওয়া হয়েছে।
এদিকে হামলা ও ভাঙচুরের শিকার এক ভুক্তভোগী বাদী হয়ে গঙ্গাচড়া মডেল থানায় ১২০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি দেখিয়ে একটি মামলা করেছেন। গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদ হাসান মৃধা আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে বাদীর নিরাপত্তার স্বার্থে তাঁর নাম জানাননি তিনি।
এর আগে গঙ্গাচড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল এমরান বলেন, ‘এখানকার পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। শুধু তিনটি পরিবার ছাড়া সবাই এখন তাদের নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করছে। ওই এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে।’
ইউএনও মাহমুদ হাসান মৃধা বলেন, ‘প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের ঘরবাড়ি মেরামতের করার জন্য ১৫ বান্ডিল টিন এবং খাদ্যসহায়তা হিসেবে ৩০ বস্তায় শুকনো খাবার, ২০ মাটির চুলা ও চারটি টিউবওয়েল সংস্কার করে দেওয়া হচ্ছে। ঘরবাড়িগুলো মেরামত করতে যা কিছু লাগবে, তা আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বহন করব।’