শিরোনাম
দক্ষিণাঞ্চলের সাংগঠনিক দায়িত্বে ডা. মাহমুদা মিতু, এনসিপির আঞ্চলিক টিম ঘোষণাবরিশালে ঋণের চাপ সহ্য করতে না পেরে যুবকের আত্মহত্যাশ্যালিকাকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে দুই শিশুকে খুন, দুলাভাইয়ের মৃত্যুদণ্ডশ্রমিক দিবসে গৃহকর্মীদের জন্য ন্যায্যতা ও স্বীকৃতির দাবি থেকে আভাস-এর আয়োজনে সংবাদ সম্মেলনশিশুদের চোখে নববর্ষ: রঙ, আনন্দ আর শোভাযাত্রার গল্পএর বিচার না হলে মানুষ আস্থা হারাবে বিএনপি থেকেবরিশালে ছাত্রলীগ নেতাকে নিয়ে বিপাকে পুলিশপতাকা গায়ে জড়িয়ে ইমোশনাল মার্কেটিং—বয়কটের মুখে মোজোসোহরাওয়ার্দী অভিমুখে ‘মার্চ ফর গাজা’আওয়ামী লিগ’সহ পাঁচ দলের নামে ইসিতে নিবন্ধন আবেদন

আ.লীগ সরকারের বিরুদ্ধে গুরুতর প্রমাণ পেয়েছে জাতিসংঘ

আ.লীগ সরকারের বিরুদ্ধে গুরুতর প্রমাণ পেয়েছে জাতিসংঘ

সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের গুরুতর প্রমাণ পেয়েছে জাতিসংঘের তদন্ত কমিশন। ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্রজনতার গণআন্দোলন দমনে নৃশংস পন্থা অবলম্বনের ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রত্যক্ষ ইন্ধন ছিল বলে তদন্তে উঠে এসেছে।

আগামী সপ্তাহে জাতিসংঘের ১০০ পৃষ্ঠার বেশি বিশদ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারির শেষে জাতিসংঘ ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনের প্রতিবেদন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে পাঠায়।

তদন্তে দেখা গেছে, সাবেক সরকার উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের প্রত্যক্ষ মদদে মানবাধিকার লঙ্ঘন সংঘটিত হয়েছে। বিশেষ করে:

  • বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ড
    • পুলিশের গুলিতে তার দেহ থেকে রক্ত ঝরার ছবি এবং নিহতের সময় তার কাছে কোনো অস্ত্র ছিল না—এ বিষয়টি তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
  • রাজধানীর যাত্রাবাড়িতে পুলিশের নির্বিচার গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যার ঘটনা
  • ছাদ থেকে শিক্ষার্থীদের ফেলে দেওয়ার ঘটনার প্রমাণ
  • সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য: তদন্ত প্রতিবেদনে এমন একটি ভিডিও ফুটেজ রয়েছে, যেখানে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে ‘গুলি করার পরও মানুষ সরে যায় না’ বলতে শোনা গেছে

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে জুলাই-আগস্টের ঘটনার পুনরায় তদন্তের সুপারিশ করা হয়েছে।

সরকারের এক জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক জানিয়েছেন,

“বিগত সরকারের প্রত্যক্ষ ইন্ধনে ছাত্রদের ওপর হামলা হয়েছে, এ বিষয়ে জাতিসংঘ নিশ্চিত। সরকারও বিভিন্ন উৎস থেকে পাওয়া তথ্য-প্রমাণ জাতিসংঘকে দিয়েছে।”

তিনি আরও বলেন,

“১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো বিশদভাবে তদন্ত করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতে করণীয় নিয়ে সুপারিশ করা হয়েছে।”

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতন হয়। এরপর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনার ফলকার টুর্ককে চিঠি দিয়ে স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানান

জাতিসংঘের তিন সদস্যের প্রাথমিক তদন্ত দল ২২-২৯ আগস্ট ঢাকা সফর করে। পরে এক মাস ধরে বাংলাদেশে অবস্থান করে জাতিসংঘের মূল অনুসন্ধান দল। তারা বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, অতি বলপ্রয়োগ, দমনমূলক গ্রেপ্তার, ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা, সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি ধ্বংসসহ ১৫ ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা তদন্ত করে।

ক্রাইম জোন ২৪

আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button