বাবার যে উপদেশ শুনে আফসোস হলো সালমান খানের


বাবার কথা অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলেন সালমান খান। তাঁর বাবা প্রখ্যাত চিত্রনাট্যকার ও প্রযোজক সেলিম খান। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই বাবার পরামর্শ মেনে কাজ করছেন বলিউড ভাইজান। তাঁর ব্যক্তিজীবনেও ছাপ ফেলেছে বাবার জীবনদর্শন। তবে সম্প্রতি বাবার মুখ থেকে একটি উপদেশ শুনে বেশ আফসোসই হলো সালমানের। ভক্তদের সঙ্গে সেটা শেয়ারও করলেন।
ইনস্টাগ্রামে আজ নিজের একটি ছবি পোস্ট করে সালমান লিখেছেন, ‘আজ যা বর্তমান কাল তা হয়ে যাবে অতীত, অতীত আমাদের নিয়ে যায় ভবিষ্যতের দিকে। বর্তমান হলো একটি উপহার। বর্তমানকে সঠিকভাবে ব্যবহার করো। বারবার ভুল করতে থাকলে এক সময় সেটা অভ্যাস হয়ে যায়। আর অভ্যাসটা একপর্যায়ে হয়ে যায় চরিত্র। কাউকে দোষারোপ কোরো না। তুমি যেটা করতে চাও না, তোমাকে দিয়ে কেউ সেটা করাতে পারবে না।’
৮৯ বছর বয়সী সেলিম খান এ উপদেশ দিয়েছেন সালমানকে। পোস্টে সেটা জানিয়ে খানিকটা আফসোস নিয়েই ভাইজান লিখেছেন, ‘মাত্রই আমার বাবা এই কথাগুলো আমাকে বললেন। খুবই সত্য কথা। যদি আমি কথাগুলো আরও আগে আমার কানে আসত! তবে খুব বেশি দেরি হয়ে যায়নি। এখনও সময় আছে।’
সালমানের এই সরল স্বীকারোক্তি এবং সেলিম খানের দার্শনিক উক্তি বেশ পছন্দ করেছেন ভক্তরা। অনেকে আবার জল্পনাকল্পনা করছেন, এটা কি সালমানের ব্যক্তিগত অনুশোচনা? নাকি জীবন সম্পর্কে একটি স্বাভাবিক উপলদ্ধি শেয়ার করেছেন ভক্তদের সঙ্গে?

সালমান খান সাধারণত নিজের ব্যক্তিগত জীবনকে আড়ালে রাখতেই পছন্দ করেন। তবে এই পোস্টে সততার সঙ্গে যে আত্মউপলদ্ধি প্রকাশ করেছেন, তা ব্যাপক প্রশংসিত হচ্ছে ভক্তদের মাঝে।
সালমানকে আগামীতে দেখা যাবে ‘ব্যাটল অব গালওয়ান’ সিনেমায়। ২০২০ সালের গালওয়ান ভ্যালির ভারত-চিন সংঘাতের প্রেক্ষাপটে তৈরি হচ্ছে সিনেমাটি। অপূর্ব লাখিয়া পরিচালিত এ সিনেমায় সালমান অভিনয় করবেন একজন সৈনিকের ভূমিকায়। ব্যাটল অব গালওয়ানে সালমানের নায়িকা চিত্রাঙ্গদা সিং।

এ সিনেমার জন্য আদা-জল খেয়ে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন সালমান। চলছে কড়া প্রস্তুতি। নিয়ম করে দুই বেলা জিম করছেন। যেহেতু লাদাখের রুক্ষ পার্বত্য অঞ্চলে লম্বা শিডিউলে শুটিং করতে হবে, তাই অতিরিক্ত ফিটনেস প্রয়োজন। সে জন্যই ব্যক্তিগত ট্রেনার নিয়োগ করে জিমে দুই বেলা ঘাম ঝরাচ্ছেন সালমান। উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলের চাপ সামলানোর জন্য জিমেই উচ্চচাপের চেম্বারে অনুশীলন করছেন।
এ ছাড়া খাদ্যাভ্যাসেও বদল এনেছেন সালমান। মদ্যপান, ফাস্ট ফুড, এমনকি সফট ড্রিংকসও ত্যাগ করেছেন। মেনুতে যোগ হয়েছে হালকা খাবার। সৈনিকের মতোই ডায়েট মেনে চলছেন।