ইউটিউব শর্টসে আসছে ছবি থেকে ভিডিও বানানোর এআই টুল


ইউটিউব শর্টস ব্যবহারকারীদের জন্য আসছে নতুন জেনারেটিভ এআই ফিচার। গতকাল বুধবার (২৩ জুলাই) ইউটিউব ঘোষণা দিয়েছে, এখন থেকে ছবি থেকে ভিডিও তৈরির কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক টুল এবং নতুন এআই ইফেক্ট ব্যবহার করতে পারবেন শর্টস নির্মাতারা।
ছবি থেকে ভিডিও ফিচারটির মাধ্যমে ফোনের ক্যামেরা রোলের একটি ছবি দিয়েই ছয় সেকেন্ডের ভিডিওতে তৈরি করা যাবে। শর্টসে ছবি আপলোড করার পর ছবির সঙ্গে প্রাসঙ্গিক কিছু ভিডিও সাজেশন দেখতে পাবেন ব্যবহারকারীরা। ইউটিউব বলছে, এই ফিচার দিয়ে কোনো ছবিতে গতি যোগ করা, দৈনন্দিন মুহূর্তের ছবি অ্যানিমেট করা, কিংবা দলগত ছবি প্রাণোজ্জ্বল করা যাবে।
এই ফিচারটি গুগলের জেমিনি ও মেটার এডিশন অ্যাপে থাকা ‘অ্যানিমেট’ টুলের মতোই কাজ করে।
নতুন এআই ফিচারগুলো আগামী সপ্তাহ থেকে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে চালু হচ্ছে। বছরের শেষ নাগাদ অন্যান্য অঞ্চলেও এটি চালু হবে বলে জানিয়েছে ইউটিউব। এদিকে, গুগল ফটোসেও একই ধরনের একটি ইমেজ টু ভিডিও টুল আসছে।
নতুন এআই ইফেক্টগুলোর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা তাঁদের আঁকা ডুডলকে শিল্পকর্মে রূপ দিতে পারবেন। আবার সেলফি দিয়েই এমন ভিডিও তৈরি করতে পারবেন, যেখানে মনে হবে আপনি পানির নিচে সাঁতার কাটছেন, দ্বিগুণ রূপে হাজির হচ্ছেন বা অন্য নানা রকম সৃজনশীল দৃশ্য ভিডিওতে যুক্ত হবে।
এই ইফেক্টগুলো দেখতে চাইলে ইউটিউব শর্টস ক্যামেরায় গিয়ে ‘ইফেক্টস’ আইকনে ক্লিক করে ‘এআই’ ট্যাবে যেতে হবে।
ইউটিউব জানায়, নতুন ফিচারগুলো গুগলের ভিও ২ ভিডিও জেনারেশন মডেলের ওপর ভিত্তি করে তৈরি। প্রতিটি এআইভিত্তিক ভিডিওতে সিনথআইডি ওয়াটারমার্ক (জলছাপ) এবং স্পষ্ট লেবেলিং থাকবে—যাতে ব্যবহারকারীরা বুঝতে পারেন, ভিডিওটি এআই দিয়ে তৈরি।
গত মাসে অনুষ্ঠিত কানস লাইওনস ২০২৫ সম্মেলনে ইউটিউবের সিইও নিল মোহন ঘোষণা দিয়েছিলেন, ভিডিও ও অডিও তৈরি করতে সক্ষম গুগলের ভিও ৩ মডেল গ্রীষ্মের শেষ দিকে ইউটিউব শর্টসে আসবে। তিনি আরও জানান, বর্তমানে ইউটিউব শর্টসে প্রতিদিন গড়ে ২০০ বিলিয়নবার ভিউ হচ্ছে।
এ ছাড়া ইউটিউব জানায়, এআইনির্ভর কনটেন্ট তৈরির জন্য নতুন একটি হাব চালু করা হয়েছে, যার নাম ‘এআই প্লেগ্রাউন্ড’। এখানে পাওয়া যাবে এআই টুল, অনুপ্রেরণামূলক উদাহরণ, প্রস্তুতকৃত প্রম্পট ইত্যাদি। টুলগুলো পাওয়া যাবে ইউটিউবে ক্রিয়েট বাটনে ক্লিক করে, এরপর ডান পাশে থাকা ‘স্পার্কল’ আইকনে ট্যাপ করতে হবে। বর্তমানে এটি যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে ব্যবহারকারীদের জন্য উন্মুক্ত।
তথ্যসূত্র: টেকক্রাঞ্চ