উত্তর প্রদেশে মন্দিরে যাওয়ার পথে গাড়ি উল্টে ১১ জনের মৃত্যু


উত্তর প্রদেশের গোণ্ডা জেলায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার স্থানীয় সময় সকালে পৃথ্বীনাথ মন্দিরে যাওয়ার পথে গোণ্ডার ইটিয়া থোক পুলিশ স্টেশন এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি বোলেরো গাড়ি খালে পড়ে যায়। মৃত ব্যক্তিদের অধিকাংশই ছিলেন একই গ্রামের বাসিন্দা। তীব্র গতির কারণে গাড়িটি সম্পূর্ণভাবে দুমড়েমুচড়ে যায়, এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বহুজনের।
জানা গেছে, গাড়িটিতে ১৫ জন যাত্রী ছিলেন। সকালের দিকে সবাই মিলে মন্দির দর্শনে যাচ্ছিলেন। পথে আচমকা বিকট শব্দ, তারপরই খালে উল্টে পড়ে গাড়িটি। সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় চিৎকার, কান্না ও হাহাকার। খবর পেয়ে স্থানীয় মানুষ ও পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। পানিতে ডুবে যাওয়া গাড়ি থেকে আহত ব্যক্তিদের টেনে বের করা হয়।
স্থানীয় লোকদের দাবি, গাড়িটির গতি অত্যধিক ছিল। রাস্তার পাশের রেলিংও ভাঙা ছিল, ফলে গাড়িটি সোজা খালে পড়ে যায়। একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ‘গাড়িটা খুব জোরে আসছিল। হঠাৎ শব্দ হলো, আর দেখি, গাড়িটা খালে পড়ে গেল। আমরা সঙ্গে সঙ্গে ছুটে গিয়ে লোকজনকে বের করতে শুরু করি। অনেকেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলেন।’
ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজ চালিয়েছে স্থানীয় পুলিশ ও এনডিআরএফ। গুরুতর আহত ব্যক্তিদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ঘটনার পরপরই গভীর শোক প্রকাশ করে প্রশাসনিক আধিকারিকদের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। তিনি মৃত ব্যক্তিদের পরিবারপিছু ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ এবং আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার পূর্ণ দায়িত্ব নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের একটি পোস্টে তিনি লেখেন, ‘গোণ্ডা জেলার এই দুর্ঘটনা হৃদয়বিদারক। মৃতদের আত্মার শান্তি কামনা করি, শোকস্তব্ধ পরিবার যেন শক্তি পায়। আহত ব্যক্তিরা যেন দ্রুত সুস্থ হন—এই প্রার্থনা করছি।’
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ব্যক্তিদের পরিচয় শনাক্ত করা হচ্ছে এবং পরিবারের হাতে দেহ তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। প্রশাসনের তরফে ঘটনাস্থলে রাখা হয়েছে মেডিকেল টিম ও অতিরিক্ত উদ্ধার বাহিনী। দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রাথমিক অনুমান, গাড়ির ব্রেক ফেল করেছিল কিংবা চালক ঘুমিয়ে পড়েছিলেন।