১৫ বছর পর রক্তরোগের চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু


পদ সৃষ্টির ১৫ বছর পর বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) চালু হলো হেমাটোলজি (রক্তরোগ) বহির্বিভাগের চিকিৎসা কার্যক্রম। প্রতি রবি থেকে বুধবার হাসপাতালের বহির্বিভাগের ১৬২ নম্বর কক্ষে রক্তরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা রোগীদের সেবা প্রদান করবেন। রোববার শেবাচিম হাসপাতালে হেমাটোলজি বহির্বিভাগ ও স্পেশালিটি ক্লিনিকের উদ্বোধন করা হয়।
জানা গেছে, ২০১০ সালে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে হেমাটোলজি (রক্তরোগ) বিভাগের চিকিৎসকদের পদ সৃষ্টি হয়। বিভাগটি সৃষ্টি হলেও বিগত ১৫ বছরে কোনো চিকিৎসক পদায়ন করা হয়নি। গত বছরের আগস্টে জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের হেমাটোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও সাবেক বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলীকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বদলি করা হলে তিনি হেমাটোলজি বিভাগ চালুর উদ্যোগ নেন। হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এ কে এম মশিউল মুনীর হেমাটোলজি বিভাগের যন্ত্রপাতিসহ যাবতীয় বিষয়ে সহযোগিতা করেন।
রোববার মেডিসিন সেমিনার হলে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. এস এম মনিরুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আনোয়ার হোসেন বাবলু, শেবামেক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ডা. কামরুদ্দোজা হাফিজুল্লাহ, হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মোহাম্মাদ মাহামুদ হাসান ও ডা. এ কে এম নজমূল আহসান।
হেমাটোলজি (রক্তরোগ) বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে চিকিৎসকেরা বলেন, রক্তরোগে আক্রান্ত এ অঞ্চলের রোগীদের রাজধানীতে যেতে হতো। এখান থেকে শেবাচিম হাসপাতালেই চিকিৎসাসেবা পাবেন।
তাঁরা বলেন, হেমাটোলজি চিকিৎসাবিজ্ঞানের রক্ত এবং রক্ত গঠনকারী টিস্যুগুলো নিয়ে কাজ করে। এটি রক্ত এবং এর উপাদানগুলোর রোগ, যেমন—রক্তকোষ, হিমোগ্লোবিন, রক্তের প্রোটিন, অস্থিমজ্জা, প্লাটিলেট, রক্তনালি, প্লীহা এবং জমাট বাঁধার প্রক্রিয়া সম্পর্কিত রোগগুলোর কারণ, রোগ নির্ণয়, চিকিৎসা এবং প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেয়। এখানে রক্তাল্পতা, রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা, হিমোফিলিয়া, রক্ত ক্যানসার, থ্যালাসেমিয়া, সিকল সেল অ্যানিমিয়া চিকিৎসা প্রদান করা হবে।