দক্ষিণাঞ্চলের সাংগঠনিক দায়িত্বে ডা. মাহমুদা মিতু, এনসিপির আঞ্চলিক টিম ঘোষণা


জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি আজ এক বিশেষ ঘোষণায় দক্ষিণাঞ্চলের সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষ্যে একটি নতুন টিম গঠনের কথা জানিয়েছে। দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দক্ষ এবং অভিজ্ঞ নেতাকর্মীদের নিয়ে গঠিত এই টিম দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন অঞ্চলে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা ও তদারকির দায়িত্ব পালন করবে।
এই টিমে বিশেষভাবে গুরুত্ব পেয়েছেন ডা. মাহমুদা আক্তার মিতু। তিনি দক্ষিণাঞ্চলের বরিশাল, কুষ্টিয়া, খুলনা এবং নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি রাজনৈতিক অঙ্গনে একজন সক্রিয় নারী নেত্রী হিসেবে কাজ করে আসছেন। তার নেতৃত্বগুণ, সাংগঠনিক দক্ষতা এবং জনগণের সঙ্গে নিবিড় সংযোগ থাকায় দল তাকে এই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব প্রদান করেছে।
দলের কেন্দ্রীয় মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুর রহিম স্বাক্ষরিত ঘোষণাপত্র অনুযায়ী, দক্ষিণাঞ্চলের সামগ্রিক দায়িত্বে রয়েছেন তিনি নিজেই। তার অধীনে দুটি বিভাগীয় টিম গঠন করা হয়েছে। টিম ১ এর নেতৃত্বে রয়েছেন মো. আজিজুল্লাহ, যিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ফরিদপুর এবং ঢাকা মহানগর ও জেলার কার্যক্রম তদারকি করবেন। টিম ২-এর দায়িত্ব পেয়েছেন ডা. মাহমুদা আক্তার মিতু, যার অধীনে বরিশাল, কুষ্টিয়া, খুলনা এবং নারায়ণগঞ্জ অঞ্চল থাকবে।
ঘোষণাপত্রে দলীয় সদস্য সচিব আক্তার হোসেনও স্বাক্ষর করেছেন, যা দলীয় সিদ্ধান্তের আনুষ্ঠানিকতা নিশ্চিত করেছে।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, এই টিম গঠনের মূল লক্ষ্য হলো মাঠ পর্যায়ে সাংগঠনিক কার্যক্রমকে আরও কার্যকর ও গতিশীল করা, নেতাকর্মীদের মধ্যে সমন্বয় তৈরি এবং স্থানীয় পর্যায়ে দলীয় উপস্থিতি ও জনসম্পৃক্ততা বাড়ানো।
ডা. মাহমুদা মিতু এ বিষয়ে বলেন, “দল আমার ওপর যে আস্থা রেখেছে, তা অক্ষুণ্ন রাখতে আমি সর্বোচ্চ আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করবো। দক্ষিণাঞ্চলে এনসিপিকে একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে আমরা সবাই একযোগে কাজ করবো।”
দলের ভেতর ও বাহিরে এ ঘোষণার পর ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। দক্ষিণাঞ্চলের নেতাকর্মীরা মনে করছেন, ডা. মাহমুদার মতো একজন অভিজ্ঞ নারী নেতৃত্ব আসায় স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন গতি আসবে।
জাতীয় নাগরিক পার্টি ধারাবাহিকভাবে সারা দেশে তাদের সাংগঠনিক কাঠামো পুনর্গঠনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এই ঘোষিত দক্ষিণাঞ্চল টিম সেই পরিকল্পনারই অংশ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।