এখনো খোলা আকাশের নিচে হাজারো ক্ষুধার্ত মানুষ


প্রাণঘাতী ভূমিকম্পের কয়েক দিন পরও পূর্ব আফগানিস্তানের হাজারো মানুষ এখনো নিরাপদ আশ্রয়হীন অবস্থায় দিনাতিপাত করছে। একদিকে বাড়িঘর লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। অন্যদিকে খাবারের সংকট। তীব্র ক্ষুধা নিয়ে মাথা গোঁজার জন্য ধ্বংসস্তূপের পাশের খোলা আকাশের নিচের স্থানটুকুই তাদের ভরসা।
নাঙ্গরহার প্রদেশের দারা-ই-নূর গ্রামের বাসিন্দা ইমরান মোহাম্মদ আরেফ। তিনি এএফপিকে বলেন, ‘আমার বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাইরে প্লাস্টিকের মাদুরে ঘুমাতে হচ্ছে।’
জালালাবাদের একজন চিকিৎসক বলেন, ‘প্রতিবার মাটি কাঁপলে মনে হয় বাড়ি ভেঙে পড়বে। আমরা বাড়ির ভেতরে থাকতে পারি না। বাগানে ঘুমাই। বারবার মনে হয়, এই বুঝি আরেকটি কম্পন আসবে।’
ভূমিধসের কারণে কুনারের প্রত্যন্ত গ্রামগুলো এখনো সাহায্য থেকে বিচ্ছিন্ন। স্থানীয় কর্মকর্তা ইজাজ উল হক ইয়াদ সতর্ক করেছেন, নিম্নভূমিতে আশ্রয় নেওয়া ঝুঁকিপূর্ণ। কেননা, এসব স্থানে আফটারশক হলে পাথর ধসে বিপদ হতে পারে।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, বিতরণের জন্য তাদের কাছে ১৪ হাজার তাঁবু প্রস্তুত আছে। আন্তর্জাতিক রেডক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট ফেডারেশন জানিয়েছে, তাদের কাছে অন্তত ৭০০ তাঁবু রয়েছে, কিন্তু দূরবর্তী গ্রামে পৌঁছানো যাচ্ছে না। সাহায্যের জন্য ক্ষতিগ্রস্তরা আকুল আহ্বান জানাচ্ছে। সোরাত নামের এক নারী বলেন, ‘আমাদের আর কিছু নেই। আমাদের সাহায্য করুন, আশ্রয় দিন, আমার সন্তানদের রক্ষা করুন।’
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি বলছে, বিশেষ করে আফগান শিশুদের জন্য এই পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়ংকর। অনেকে ইতিমধ্যেই অপুষ্টিতে ভুগছে। তার মধ্যেই এই কম্পন তাদের জন্য একটি কঠিন মুহূর্ত।
স্থানীয় স্কুলগুলো ধসে পড়েছে। ফলে শিশুদের শিক্ষা কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।
ক্রাইম জোন ২৪