কুকুরের হেফাজত নিয়ে মহুয়া মৈত্রের মুখোমুখি সাবেক পার্টনার, দুজনকে বসতে বললেন আদালত


তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য মহুয়া মৈত্র ও আইনজীবী জয় অনন্ত দেহাদ্রাই কেন নিজেরা বসে পোষা কুকুরের হেফাজত নিয়ে বিরোধ মেটাতে পারছেন না—এ প্রশ্ন করেছেন দিল্লি হাইকোর্ট।
আজ বুধবার বিচারপতি জৈন তাঁদের কাছে জানতে চান, ‘আপনারা দুজনে একসঙ্গে বসে এর সমাধান করে নিচ্ছেন না কেন? তিনি (মহুয়া) এ মামলায় কী ধরনের সুরাহা চাইছেন?’
দিল্লি হাইকোর্টের এ বিচারপতি মহুয়া মৈত্রের সেই আবেদনের কথা তোলেন, যেখানে তিনি হেনরি নামের একটি রটওয়েলার প্রজাতির কুকুরের যৌথ হেফাজতের দাবি জানান।
তৃণমূল নেতা মহুয়া মৈত্র ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জয় অনন্ত একসময় সম্পর্কে ছিলেন বলে জনশ্রুতি রয়েছে। বিচ্ছেদের পর থেকে তাঁদের সম্পর্ক ভালো নয়। তাঁরা দুজন একে অন্যের বিরুদ্ধে হেনরিকে ‘চুরি করার’ অভিযোগ আনেন এবং ২০২৩ সাল থেকে এই আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।
মহুয়ার দাবি, হেনরি তারই; তাই তিনি যৌথ হেফাজত চান।
অন্যদিকে জয় অনন্ত চ্যালেঞ্জ করেছেন নিম্ন আদালতের সেই আদেশকে, যেখানে তাঁকে এই কুকুর হেফাজতসংক্রান্ত বিরোধ প্রকাশ্যে আনা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়।
জয় অনন্তের পক্ষের আইনজীবী সঞ্জয় ঘোষ বলেন, নিম্ন আদালতের আদেশটিতে তিনি হতাশ। কারণ, এটি তাঁদের দুজনকে প্রকাশ্যে মামলাটি নিয়ে কথা বলতে বাধা দিয়েছে। মহুয়া মৈত্রের করা মামলার ভিত্তিতে দেওয়া এই আদেশ তাঁর বাক্স্বাধীনতার লঙ্ঘন।
নিম্ন আদালত আজ মহুয়ার কাছে এ বিষয়ে একটি জবাব চেয়েছিলেন এবং মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য ডিসেম্বরের সময়সীমা ধার্য করেন।
জয় অনন্ত বারবার দাবি করছেন, হেনরির বয়স যখন ৪০ দিন, তখন থেকে সে তাঁর কাছে ছিল। তিনিই কুকুরটিকে নিজের কাছে নিয়ে এসেছিলেন এবং তিনিই এর আসল অভিভাবক।
ক্রাইম জোন ২৪