শিরোনাম
আখ চাষ করে চিনিশিল্পকে টিকিয়ে রাখতে হবে: অতিরিক্তি সচিব রশিদুল হাসানযুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীদের শিকল পরিয়ে ফেরত: বাংলাদেশিদের ট্র্যাজেডিসশস্ত্র বাহিনী দায়িত্বে, ফেরারি আসামি প্রার্থী অযোগ্য, জামানত ৫০ হাজার টাকামিলমালিকদের শুল্ক পুনরায় আরোপের দাবি ও বাজার সংকটের আশঙ্কামাতারবাড়ী-মহেশখালীতে ১৫০ বিলিয়ন ডলারের উন্নয়ন: সিঙ্গাপুর-মডেল টাউনশিপ পরিকল্পনা‘আগে নাগরিক সুবিধা দাও, পরে হোল্ডিং চার্জ নাও’পতিতাবৃত্তির অভিযোগে উত্তরায় আবাসিক হোটেল থেকে পাঁচ যুবতীসহ গ্রেপ্তার ১২এখনো খোলা আকাশের নিচে হাজারো ক্ষুধার্ত মানুষনাটোরে পেটের অসুখে ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ১৪৭‘পানি ঢেলে জ্ঞান ফিরিয়ে আবার চলত নির্যাতন’

মুলাদীতে ইউপি সদস্য ও জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে ‘কার্ডের খরচ’ নেওয়ার অভিযোগ

মুলাদীতে ইউপি সদস্য ও জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে ‘কার্ডের খরচ’ নেওয়ার অভিযোগ

বরিশালের মুলাদীতে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির উপকারভোগীদের পরিচয়পত্র (কার্ড) দেওয়ার বিনিময়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় নারী ইউপি সদস্য ও জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে। উপকারভোগীদের দাবি, আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের নাজিরপুর বাজারে ওই ইউনিয়নের ৪৯ জনের কাছ থেকে ২০০ টাকা করে ‘খরচ’ নেওয়া হয়েছে। পরে আবার উপকারভোগীদের কার্ড বাতিলের ভয় দেখিয়ে কোনো টাকা নেওয়া হয়নি লিখিয়ে কাগজে তাঁদের সই নেওয়া হয়। নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত সদস্য শায়লা শারমিন মিম্মু এবং ওই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের জামায়াতে ইসলামীর আমির আবিদুর রহমান এই টাকা নেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় থেকে জানা যায়, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় নাজিরপুর ইউনিয়নের ৫১৩ জন উপকারভোগী রয়েছেন। আরও ৪৯ জন দরিদ্রের নাম নতুন করে তালিকাভুক্ত হয়। ইউনিয়নে পরিবেশক না থাকায় পার্শ্ববর্তী বাণীমর্দন এলাকায় তাঁদের সংযুক্ত করা হয় এবং এসব পরিবারকে চাল দিতে সমন্বয় করার জন্য ইউপি সদস্যদের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ভুক্তভোগী জানান, নতুন কার্ড তৈরির খরচের কথা বলে ইউপি সদস্য শায়লা শারমিন মিম্মু এবং জামায়াত নেতা আবিদুর রহমান জনপ্রতি ২০০ টাকা নিয়েছেন। কেউ টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাঁর নাম বাদ দেওয়ার ভয় দেখান তাঁরা। পরে সবাই টাকা দিয়েছেন। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে এক কর্মকর্তা সেখানে যান। পরে ইউপি সদস্য ও জামায়াত নেতা ‘টাকা নেওয়া হয়নি’ লেখা একটি কাগজে স্বাক্ষর নেন।

তবে ইউপি সদস্য ও জামায়াত নেতা দুজনেই টাকা নেওয়া বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তাঁদের দাবি, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির পরিবেশক (ডিলার) হতে না পারায় একটি মহল তাঁদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছেন। ইউপি সদস্য শায়লা শারমিন মিম্মু বলেন, নতুন উপকারভোগী কারও কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে সবার স্বাক্ষরিত সংবলিত লিখিত প্রমাণ রয়েছে। নাজিরপুর ইউনিয়নের অনেকে খাদবান্ধব কর্মসূচির ডিলার হতে চেয়েছেন। কিন্তু বিভিন্ন অনিয়ম থাকায় তাঁরা ডিলারশিপ পাননি। তাঁরাই অপপ্রচার চালাচ্ছেন এবং টাকা নেওয়ার বদনাম করছেন।

নাজিরপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর আমির আবিদুর রহমান বলেন, নতুন তালিকাভুক্ত উপকারভোগীদের কাগজপত্র গোছাতে সহযোগিতা করেছেন তিনি। কারও থেকে টাকা গ্রহণ করা হয়নি।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের সহকারী পরিদর্শক মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে এবং ইউপি সদস্য ও জামায়াত নেতাকে ধমকে শাসন করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, অভিযোগ পেয়ে খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয় থেকে লোক পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


ক্রাইম জোন ২৪

আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button