প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ও বাংলা একাডেমি পরিদর্শন


প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ তাদের বাংলাদেশ স্টাডিজ কোর্সের শিক্ষার্থীদের জন্য গত ৪ আগস্ট একটি শিক্ষা সফরের আয়োজন করে। এই শিক্ষা সফরে তারা বাংলাদেশের সমাজ ও রাষ্ট্রের ইতিহাস, সাহিত্য ও সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ও বাংলা একাডেমিসহ অন্যান্য বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন। এতে প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষকেরা অংশ নেন।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর পরিদর্শনকালে তারা সেখানকার ৪টি গ্যালারি পরিদর্শন করে বাংলাদেশের দীর্ঘ মুক্তিসংগ্রাম ও একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে বিস্তারিত অবহিত হন। গ্যালারি পরিদর্শন শেষে তারা এ বিষয়ে একটি তাৎক্ষণিক কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ৯ জন শিক্ষার্থীকে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের পক্ষ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বিভিন্ন গ্রন্থ উপহার দেওয়া হয়।
প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের অন্যতম ট্রাস্টি মফিদুল হক ও প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের অ্যাডজাঙ্কট ফ্যাকাল্টি আবু তাহের খান।
শিক্ষার্থীরা বাংলা একাডেমির বর্ধমান হাউস, নভেরা আহমেদ প্রদর্শনী কক্ষ, বিভিন্ন বিভাগ, গ্রন্থাগার, পুস্তক বিক্রয় কেন্দ্র ও অন্যান্য ঐতিহাসিক নিদর্শন ঘুরে দেখেন।
এরপর সেখানে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আজম ও প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির অ্যাডজাঙ্কট ফ্যাকাল্টি আবু তাহের খান। অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম তাঁর বক্তব্যের শুরুতে বাংলা একাডেমির বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের অবহিত করেন। পরে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের রাষ্ট্র, সমাজ, সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে গভীরভাবে বোঝার জন্য শিক্ষার্থীদের আরও বেশি করে উচ্চতর ও বিস্তৃততর অধ্যয়নের প্রতি মনোযোগী হতে হবে।’ এ প্রসঙ্গে তিনি উপজেলা পর্যায়ে পাবলিক লাইব্রেরির কোনো শাখা না থাকার বিষয়টিকে অত্যন্ত হতাশাব্যঞ্জক বলে উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে আবু তাহের খান বলেন, ‘প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি তার শিক্ষার্থীদের তাত্ত্বিক জ্ঞানের পাশাপাশি হাতেকলমের বাস্তব শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে চায় এবং তার অংশ হিসেবেই এ শিক্ষা সফরের আয়োজন করা হয়েছে।’
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ও বাংলা একাডেমি ছাড়াও শিক্ষার্থীরা ওই দিন তেজগাঁও পুরোনো বিমান বন্দর জাতীয় সংসদ ভবন, বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসুর স্মৃতিবিজড়িত কার্জন হল, মীর জুমলা তোরণ, কাজী নজরুল ইসলামের সমাধি, ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দান ইত্যাদি পরিদর্শন করেন।