র্যাব বলছে হত্যা, পুলিশ বলছে চুরি


রংপুরের তারাগঞ্জে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ইরফান ওরফে আরমান আলী বাবুর (১১) গলাকাটা মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় র্যাব তিনজনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানালেও স্থানীয় থানা-পুলিশের বক্তব্যে এসেছে ভিন্ন সুর। র্যাব যেখানে এটিকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হিসেবে দাবি করছে, সেখানে থানা-পুলিশ বলছে—গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা অন্য একটি ভ্যান চুরির মামলায় সম্পৃক্ত।
আজ বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বিকেলে রংপুর র্যাব সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে র্যাব-১৩-এর একটি দল তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বদরগঞ্জ থানার মধুপুর ইউনিয়নের বোটঘর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভ্যান ছিনতাইসহ হত্যার ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন নীলফামারীর উত্তম মোশারফ পূর্বপাড়া গ্রামের মো. শরিফুল (২২), বিস্মরি চাঁদের হাট গ্রামের মো. বাবু (২৫) ও পঞ্চপুকুর গ্রামের মো. রবি (২২)।
এ সময় তাঁদের কাছ থেকে একটি ওয়্যারলেস সেট, তিনটি মোবাইল ফোন ও নগদ ৩৮ হাজার ৫০০ টাকা জব্দ করা হয়।
র্যাব-১৩-এর মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তারাগঞ্জে ভ্যান ছিনতাইসহ ইরফান হত্যার ঘটনায় সুনির্দিষ্ট তথ্য, গোপন সংবাদ ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় হত্যায় জড়িত পলাতক তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তদন্ত ও অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে, প্রয়োজনে আরও অভিযান চলবে।
তবে ভিন্ন দাবি করেছেন তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ ফারুক। তিনি বলেন, ওই তিনজনকে অটো চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। যেদিন শিশু ইরফানকে হত্যা করা হয়েছে, ওই দিন গ্রেপ্তার তিনজন লিটন নামের একজনের অটো চুরি করেছিলেন। লিটন তাঁদের চিনতে পেরে শনাক্ত করেছেন। গ্রেপ্তার তিনজনকে চুরির ঘটনায় আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।