শিরোনাম

আল-আরাফাহ ব্যাংকে চাকরিচ্যুতদের সঙ্গে নিরাপত্তাকর্মীদের সংঘর্ষ

আল-আরাফাহ ব্যাংকে চাকরিচ্যুতদের সঙ্গে নিরাপত্তাকর্মীদের সংঘর্ষ

আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা ও ব্যাংকের নিরাপত্তাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জনের আহতের খবর পাওয়া গেছে। ব্যাংক কর্তৃপক্ষের দাবি, তারা সবাই ব্যাংকের বর্তমান কর্মকর্তা ও কর্মচারি। তবে হামলার সময় নিরাপত্তাকর্মীদের লাঠিচার্জে কতজন কর্মকর্তা আহত হয়েছেন, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া চারটার দিকে রাজধানীর দৈনিক বাংলা মোড়ে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, ব্যাংকের তিনজন ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (ডিএমডি) ও মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান আমির হোসেন গাড়িতে উঠছিলেন। এ সময় হঠাৎ একদল চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা এসে তাদের ঘিরে ফেলেন এবং আমির হোসেনকে টেনে হিঁচড়ে বের করে এনে মারধর করেন। একপর্যায়ে নিরাপত্তারক্ষীরাও পাল্টা হামলা চালিয়ে লাঠিপেটা করেন চাকরিচ্যুতদের। এ ঘটনায় আহতদের মধ্যে রয়েছেন—শাহিনুর, আমির হোসেন, লিটন, ইলিয়াস, ফাহিম, রকি হোসেন, তোফায়েল, নুর আলম, আরিফ, জাকির হোসেন, সাগর, লুৎফর, ফারুক ও সোহেল।

পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিরুল আমিন বলেন, ‘ব্যাংকের পক্ষ থেকে কেউ যোগাযোগ করেননি। যতটুকু শুনেছি, তারা নিজেরা মীমাংসা করেছেন।’

ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নিয়োগসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে ব্যাংকটিতে বড় ধরনের সংস্কার চলছে। ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশ ব্যাংক ও গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তে বেরিয়ে আসে, এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণাধীন সময়ে প্রায় ৬০০ কর্মকর্তা চেয়ারম্যানের দফতর থেকে সরাসরি নিয়োগ পেয়েছিলেন, যাদের অধিকাংশই নিয়মবহির্ভূতভাবে নিয়োগ পেয়েছেন—ম্যানেজমেন্ট বা বোর্ডের অনুমোদন ছাড়াই।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ১ হাজার ৪১৪ জন কর্মকর্তার মূল্যায়ন পরীক্ষা নেয়। এতে অকৃতকার্য হওয়ায় ৫৪৭ জনকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। হঠাৎ বরখাস্তের ঘটনায় চাকরিচ্যুতরা ক্ষোভে ফেটে পড়ে এবং আন্দোলনে নামে। তাদের অভিযোগ—কোনো পূর্ব নোটিশ বা কারণ ছাড়াই বেআইনিভাবে চাকরি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

গত ২৮ জুলাই থেকে চাকরিচ্যুতরা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে অবস্থান ও মানববন্ধন কর্মসূচি চালিয়ে আসছেন। এতে ব্যাংক ভবনে প্রবেশে বাধা সৃষ্টি হওয়ায় স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

ব্যাংক কর্মকর্তাদের দাবি, শুধু আল-আরাফাহ নয়, এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণাধীন অন্যান্য ব্যাংক থেকেও চাকরিচ্যুতরা এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন।



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button