শিরোনাম
জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী এক বছরে অনেক অর্জন হয়েছে: শেখ বশিরউদ্দীনজীবন আহমেদের ক্যামেরায় জুলাই গণ-অভ্যুত্থানর‍্যাব বলছে হত্যা, পুলিশ বলছে চুরিআল-আরাফাহ ব্যাংকে চাকরিচ্যুতদের সঙ্গে নিরাপত্তাকর্মীদের সংঘর্ষশান্ত হয়ে যাচ্ছে নীল তিমিরা, দুশ্চিন্তায় বিজ্ঞানীরাচীনের চর সন্দেহে ইন্টেল সিইওর অপসারণ চাইলেন ট্রাম্পপবিপ্রবিতে জুনিয়রকে পরিচালকের দায়িত্ব দেওয়ায় ছাত্র উপ-উপদেষ্টার পদত্যাগচাঁদপুরে পিকআপ–মোটরসাইকেল সংঘর্ষে ২ শিক্ষার্থীর মৃত্যুআকাশসীমায় বেসামরিক ফ্লাইটের বিদ্যমান ঝুঁকি নিরসন করতে হবে, গোলটেবিলে বক্তারাপ্রকাশিত সংবাদ নিয়ে শিবিরের ঢাবি শাখার প্রতিবাদ

তিনজন আজীবন বহিষ্কার, সনদ বাতিল ১৫ জনের

তিনজন আজীবন বহিষ্কার, সনদ বাতিল ১৫ জনের

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) আশরাফুল হক হলে ছাত্রদল-শিবির ট্যাগ দিয়ে চার শিক্ষার্থীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের ঘটনায় ২১ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তাঁদের মধ্যে ১৫ জন শিক্ষার্থীর ডিগ্রির সনদ বাতিল এবং তিন শিক্ষার্থীকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া ঘটনায় জড়িত দুই শিক্ষকের মধ্যে একজনকে নিম্ন পদে অবনমন এবং আরেকজনের পদোন্নতি ও বেতন বৃদ্ধি স্থগিত করা হয়েছে। এক কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে।

গত ১৮ মে সিন্ডিকেটের ৩২৮ তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ১৭ মে বোর্ড অব রেসিডেন্স অ্যান্ড ডিসিপ্লিনের জরুরি সভায় শাস্তির সুপারিশ করা হয়, যা পরদিন সিন্ডিকেটে অনুমোদন পায়।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, ২০২২ সালের ১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে দিবাগত রাত ১টা পর্যন্ত আশরাফুল হক হলের চার শিক্ষার্থীকে ‘ছাত্রদল ও শিবিরসংশ্লিষ্ট’ দাবি করে একদল ছাত্রলীগ কর্মী গেস্টরুমসহ হলের বিভিন্ন কক্ষে বিভক্ত হয়ে নির্যাতন করেন। একপর্যায়ে ভুক্তভোগীদের মধ্যে একজনকে হেলথ কেয়ার সেন্টারে ও অন্যদের আহত অবস্থায় ক্যাম্পাসের বাইরে ফেলে রেখে আসা হয়। নির্যাতনের পর শিক্ষার্থীদের একজনকে লকারে তালাবদ্ধ করে রাখার অভিযোগও ওঠে।

ডিগ্রি সনদ বাতিল হওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন মেহেদী হাসান (ফুড টেকনোলজি, মাস্টার্স), দীপক হালদার (অ্যাগ্রোনমি), আজহারুল ইসলাম (পোলট্রি সায়েন্স), সালমান মোস্তফা (অ্যানিমেল সায়েন্স), দীপ্ত সিকদার (জেনেটিকস অ্যান্ড প্ল্যান্ট ব্রিডিং), নুর ই আলম অনিক (কৃষি রসায়ন), ইব্রাহিম আমিন ও সৌরভ মেহরাহ সাকিব (পশুপালন অনুষদ), আল মামুন, অন্তর চৌধুরী, হাসিবুল হাসান দুর্জয়, সজীব সাহা, সামস উদ্দীন সাজ্জাদ (কৃষি অনুষদ), রাশেদুল ইসলাম (কৃষি অর্থনীতি) ও আশিক বিল্লাহ মেসবাহ (মৎস্য অনুষদ)। আজীবন বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন তামিম মাহমুদ আকাশ, মিনহাজুল হক ভূঁইয়া ও ফিশাল হাসনাত নুহাশ।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী রিফাত বিন শায়েকুজ্জামান বলেন, ‘ঘটনার পর বিচার দূরে থাক, কেউ আমাদের পাশে দাঁড়ায়নি। পরে তদন্ত কমিটির কাছে সব তথ্যপ্রমাণ দিয়েছি। দীর্ঘ অপেক্ষার পর বিচার দেখে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছি।’

আরেক শিক্ষার্থী মাহমুদুর রহমান তুষার বলেন, আশরাফুল হক হল একসময় সন্ত্রাস ও ট্যাগিং রাজনীতির অভয়ারণ্য হয়ে উঠেছিল। এখনকার এই কঠোর শাস্তি অন্যদের জন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এক কর্মকর্তা জানান, অপরাধের গুরুত্ব ও প্রমাণাদির ভিত্তিতে সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কোনো অপরাধী ছাড় পায়নি।



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button