শক্তি ও মালিকানা যার হাতে, তাঁকেই ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে হবে: মির্জা ফখরুল


শক্তি যার, ক্ষমতা যার ও মালিকানা যার হাতে তার হাতেই ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। জাতীয় প্রেসক্লাবের উদ্যোগে জুলাই–আগস্ট গণ–অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘৫ আগস্টের পরে ৬/৭ তারিখে পল্টনে এক সভায় তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন দাবি করেছিলাম। তখন আপনারা বলেছিলেন, বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য এত অস্থির হয়েছে কেন! এখন আপনারাই বলছেন ব্যাপারটা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়, যার শক্তি, যার ক্ষমতা, যার মালিকানা তাকেই ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘সরকারে জনগণের প্রতিনিধি থাকবে না, তখন রাষ্ট্রে সমস্যা তো হবেই। একটা কথা বলার দরকার হলে কাকে বলবেন, কার কাছে বলবেন? কথা বলারই লোক নেই। আগে সংসদ সদস্য, মেয়রদের বলতেন এখন তো কিছুই নেই। ৫২’র ভাষা আন্দোলন থেকে ৬৯, ৭১ ও ২৪-এ আমরা পেরেছি, আশা করি সামনেও জনগণের আকাঙ্ক্ষা ফিরিয়ে দিতে পারব।’
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বাংলাদেশ নির্মাণের অভূতপূর্ব সময় এসেছে। জনগণের সমর্থন, অর্থাৎ নির্বাচন নিয়ে সরকারে যাব, আবারও জনগণ যদি চায় তাহলে আসব, না হলে না। আমরা বিশ্বাস করি, মত প্রকাশের ও কথা বলার স্বাধীনতা। মানুষের ন্যায্য বিচার পাওয়ার অধিকার এবং সামাজিক মর্যাদা ভোগ করার অধিকার রয়েছে। কিন্তু এটা তো হচ্ছে না।’
তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তির পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে রাজনৈতিক কাঠামো পরিবর্তন ছাড়া রাষ্ট্র ধরে রাখা কঠিন হবে। প্রকৃতপক্ষে গোলামি থেকে মুক্তি পেয়েছি ১৯৪৭ সালে, পরে আবার পাকিস্তানিদের গোলামি শুরু, এরপর এখন বাংলাদেশি প্রভুদের গোলামি শুরু হয়েছে। গোলামিতেই আছি আমরা। এই সংকীর্ণতা থেকে আমাদের বড় কিছু করে দেখার চেষ্টা করা উচিত।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ঐকমত্য কমিশনের ১২টা বিষয়ে সবাই ঐকমত্যে এসেছে। মৌলিক ধারণাগুলো একসঙ্গে আসার পরে জনগণের কাছে ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে হবে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি হাসান হাফিজ। প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের আইয়ুব ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন— আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, মানবজমিন পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ আব্দুল্লাহ বিন জাহিদের (১৬) মা ফাতেমা তুজ জোহরা ও শহীদ জাবির ইব্রাহিমের (৬) বাবা কবীর হোসেন প্রমুখ। এ সময় নির্যাতিত চার সম্পাদককে সম্মাননা দেওয়া হয়।’