শিরোনাম

টেসলার ব্যাটারি বানাবে এলজি, ৪৩০ কোটি ডলারের চুক্তি

টেসলার ব্যাটারি বানাবে এলজি, ৪৩০ কোটি ডলারের চুক্তি

বৈদ্যুতিক গাড়ি (ইভি) নির্মাতা কোম্পানি টেসলার জন্য লিথিয়াম আয়রন ফসফেট ব্যাটারি তৈরি করবে দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যাটারি উৎপাদক এলজি। এ জন্য ৪৩০ কোটি ডলারের চুক্তি করেছে কোম্পানি দুটি। চীনা আমদানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্ক আরোপের পর টেসলা তাদের সরবরাহ শৃঙ্খলে বৈচিত্র্য আনতে এই পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।

এই ব্যাটারিগুলো এলজির যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের কারখানা থেকে সরবরাহ করা হবে। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে ক্রেতার নাম প্রকাশ করেনি। তবে সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, এই ব্যাটারিগুলো ব্যবহৃত হবে টেসলার এনার্জি স্টোরেজ সিস্টেমে, যানবাহনে নয়।

গত সপ্তাহে এলজি জানিয়েছিল, বৈশ্বিকভাবে শক্তি সঞ্চয় ব্যাটারির চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় তারা বৈদ্যুতিক গাড়ির তুলনায় স্টোরেজ ইউনিটে বেশি জোর দেবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রশিক্ষণ ও ডেটা সেন্টার সম্প্রসারণ এই চাহিদা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।

চুক্তিটি ২০২৭ সালের আগস্ট থেকে ২০৩০ সালের জুলাই পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। তবে, আলোচনার ভিত্তিতে মেয়াদ সাত বছর পর্যন্ত বাড়ানো এবং সরবরাহের পরিমাণও বৃদ্ধির সুযোগ থাকছে।

এলজির একজন মুখপাত্র রয়টার্সকে জানান, ‘চুক্তির গোপনীয়তার কারণে ক্রেতার নাম প্রকাশ করা সম্ভব নয়।’ টেসলা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

এর আগে এপ্রিল মাসে টেসলার প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা বৈভব তানেজা বলেন, ‘আমাদের এনার্জি ব্যবসার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের প্রভাব অত্যন্ত বেশি। তাই আমরা চীনের বাইরে অন্য সরবরাহ উৎস খুঁজছি।’

চলতি বছরের মে মাসে তাদের মিশিগান কারখানায় এলএফপি ব্যাটারির উৎপাদন শুরু করে এলজি। দক্ষিণ কোরিয়ার অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো যেমন স্যামসাং এসডিআই বা এসকে অন—এখনো যুক্তরাষ্ট্রে এলএফপি ব্যাটারি উৎপাদনে প্রবেশ করেনি।

এদিকে, টেসলার মোট আয়ের ১০ শতাংশের কিছু বেশি আসে এনার্জি স্টোরেজ ও জেনারেশন ব্যবসা থেকে। গাড়ি বিক্রিতে মন্দা দেখা দিলেও এই খাত টেসলার জন্য উজ্জ্বল দিক হয়ে উঠেছে।

সম্প্রতি টেসলার প্রধান ইলন মাস্ক বলেছেন, ‘শুল্ক এবং সরবরাহ চেইনের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও এনার্জি খাত খুব ভালো করছে। অনেকেই বুঝতে পারেন না, ব্যাটারির চাহিদা কী পরিমাণ বিশাল আকার ধারণ করেছে।’

এ ছাড়া, টেসলা সম্প্রতি স্যামসাং ইলেকট্রনিকসের টেক্সাস কারখানা থেকে ১ হাজার ৬৫০ কোটি ডলারের চিপ কেনার ঘোষণা দিয়েছে।

আগামী ১ আগস্ট থেকে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আমদানির ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হওয়ার কথা। এই শুল্ক এড়াতে একটি বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত করতে যুক্তরাষ্ট্রে বৈঠক করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার তিনজন মন্ত্রী পর্যায়ের কর্মকর্তা ও মার্কিন বাণিজ্যসচিব হাওয়ার্ড লুটনিক।



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button