শিরোনাম
জুলাইয়ের মধ্য দিয়ে পাওয়া স্বাধীনতাকে সমুন্নত রাখতে চায় ‘কালচারাল ফ্রন্ট’ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন দেবেন প্রধান উপদেষ্টা: মির্জা ফখরুলের প্রত্যাশানাটোরে ‘ডিজে পার্টি’তে যাওয়ার পথে ৫৭ কিশোর আটকচোরা শিকার রুখতে গন্ডার শিংয়ে তেজস্ক্রিয় পদার্থ!নেছারাবাদে ভাসমান পেয়ারার হাটে ঘুরতে আসা পর্যটকদের লাউড স্পিকার জব্দখুলনায় বাসায় ঢুকে ঠিকাদারকে ছুরিকাঘাতে হত্যাব্যবসায়ীকে বালুতে পুঁতে ‘৪ কোটি টাকা আদায়’ বিএনপি ও সাংবাদিক নেতাররাজধানীর মহাখালীতে দুর্বৃত্তের গুলিতে হাসপাতালের কর্মচারী আহতস্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার কাছে খোলাচিঠিএকে একে আট বিয়ে, নয়বারের বেলায় গ্রেপ্তার ভারতের ‘লুটেরা দুলহান’

ঠাকুরগাঁওয়ে নির্ধারিত দামে মিলছেনা সার, বিপাকে কৃষক

ঠাকুরগাঁওয়ে নির্ধারিত দামে মিলছেনা সার, বিপাকে কৃষক

ঠাকুরগাঁওয়ে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে সরকারনির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে সার বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা—এমন অভিযোগ করেছেন কৃষকেরা। বাজারে টিএসপি, ডিএপি ও এমওপি সারের পর্যাপ্ত মজুত থাকলেও অধিকাংশ দোকানে এসব সার মিলছে না নির্ধারিত দামে। অনেকে রসিদ না দিয়েই বাড়তি মূল্য নিচ্ছেন।

সরেজমিনে কয়েকটি উপজেলায় ঘুরে দেখা গেছে, ডিলার ও খুচরা বিক্রেতারা সার দিচ্ছেন ‘সীমিত মজুতের’ কথা বলে অনাগ্রহ নিয়ে। আবার বেশি দামে কিনলে সার মিলছে সহজেই। তবে সরকারনির্ধারিত দামের চেয়ে বস্তাপ্রতি ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা বেশি নিচ্ছেন অনেক বিক্রেতা। অনেকেই রসিদ দিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন। কেউ কেউ সরকারনির্ধারিত দামের রসিদ দিলেও অতিরিক্ত নেওয়া টাকার কোনো হিসাব দিচ্ছেন না।

সদর উপজেলার কৃষক মনসুর আলী বলেন, ‘টিএসপি সার কিনেছি ১ হাজার ৮২০ টাকায়, অথচ সরকারি দাম ১ হাজার ৩৫০ টাকা। এ কথা বললে বিক্রেতারা বলেন, কিনতে না চাইলে চলে যান।’ একই এলাকার কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ডিএপি ১০৫০ টাকার কথা, অথচ আমাকে কিনতে হয়েছে ১৫০০ টাকায়। দোকানে দামের রসিদ নেই, শুধু মুখের হিসাব।’

ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, জুলাই মাসে জেলায় বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে টিএসপি ১,৪০৬ টন ডিএপি ২,৬৯৩ টন, এমওপি ৩,১৩৬ টন ও ইউরিয়া ৬,৫৮৭ টন। জেলার পাঁচ উপজেলায় বিসিআইসির ৬২ জন এবং বিএডিসির ১৪৮ জন ডিলারের মাধ্যমে এই সার বিতরণ করা হচ্ছে। গতকাল পর্যন্ত ডিলাররা সার তুলেছেন টিএসপি ১,২২১ টন, ডিএপি ২,৬২৭ টন, এমওপি ৩,০৮৪ টন ও ইউরিয়া ৬,১২৪ টন।

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার কাঁদোসুখা গ্রামের কৃষক আবদুর রহমান বলেন, ‘ডিলারের বিক্রয়কেন্দ্রে যখন সার আসে, আগে থেকেই কিছু খুচরা ব্যবসায়ী তা কিনে নেন। আমাদের হাতে পড়ে না। পরে সেই সারই দোকান থেকে কিনতে হয় অতিরিক্ত দামে।’

তবে জেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, বরাদ্দের সারের একটি অংশ পাচার হয়ে যাচ্ছে পঞ্চগড়ের চা-বাগানে। ইউরিয়া, টিএসপি, ডিএপি—সব ধরনের সারই ওই জেলায় পাচার হচ্ছে নিয়মিত। এতে স্থানীয় কৃষকেরা সংকটে পড়ছেন। সদর উপজেলার গড়েয়া এলাকায় সম্প্রতি অভিযান চালিয়ে একটি বাড়ি থেকে ৯৪৭ বস্তা সার উদ্ধার করেছে সদর উপজেলা কৃষি অফিস ও যৌথ বাহিনী। যার বাজারমূল্য আনুমানিক ১১ লাখ টাকা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ও সার মনিটরিং কমিটির সদস্যসচিব মো. মাজেদুল ইসলাম বলেন, সরকারি বরাদ্দ অনুযায়ী সার মজুত রয়েছে। তবে পাশের জেলা পঞ্চগড়ের কিছু ব্যবসায়ী ও চা-চাষিরা এখান থেকে সার নিয়ে যাওয়ায় চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কিছুটা কমে গেছে।



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button