শিরোনাম
পরমাণু শক্তি কমিশনে ১৮২ জনের চাকরির সুযোগবিতর্কের মধ্যেই ট্রাম্পের সাবেক আইনজীবী বোভকে ফেডারেল আপিল আদালতের আজীবন বিচারক নিয়োগমানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া আ. লীগ নেতা মোবারককে খালাসআবার মঞ্চে আসছে জাগরণী থিয়েটারের নাটক ‘কাদামাটি’কাগজে কলমে বেড়েছে পাটের চাষ, কৃষকেরা বলছেন কমেছেওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ হতে না হতেই অস্ট্রেলিয়ার চমকহামাসকে অস্ত্র ও গাজার শাসনভার ছাড়তে বলল আরব বিশ্ব, সমর্থন পশ্চিমা বিশ্বেরস্মৃতির গর্জন ও বিবেকের দায়রাঙামাটিতে আনসার পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে যুবক আটকবাংলাদেশর ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ৩৫% পাল্টা শুল্ক কমছে, সবুজ সংকেত যুক্তরাষ্ট্রের

টাকার জন্য রাবি ভিসির সুপারিশ নিয়ে ২১ প্রতিষ্ঠানে চিঠি সাবেক সমন্বয়কের

টাকার জন্য রাবি ভিসির সুপারিশ নিয়ে ২১ প্রতিষ্ঠানে চিঠি সাবেক সমন্বয়কের

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ‘৩৬ জুলাই: মুক্তির উৎসব’ আয়োজনের জন্য আর্থিক অনুদান চেয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চিঠি পাঠিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মার। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীবের ‘স্ট্রংলি রিকমেন্ডেড’ মন্তব্য সংযুক্ত একটি চিঠির কপি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা ও বিতর্ক হচ্ছে।

ফেসবুকে বিভিন্ন পোস্টে বলা হচ্ছে, ৭৬ লাখ টাকা সংগ্রহের লক্ষ্যে ৭০টি প্রতিষ্ঠানে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তবে আম্মার জানিয়েছেন, দুই দিনের উৎসবের জন্য ৬০ থেকে ৬৫ লাখ টাকা অনুদান সংগ্রহের লক্ষ্য রয়েছে এবং এখন পর্যন্ত ২১টি প্রতিষ্ঠানে আবেদন করেছেন তিনি।

রাবি উপাচার্যের সুপারিশ নিয়ে করা আবেদন। ছবি: সংগৃহীত
রাবি উপাচার্যের সুপারিশ নিয়ে করা আবেদন। ছবি: সংগৃহীত

চিঠির ওই কপিটি ছড়িয়ে পড়লে এটিকে ‘চাঁদাবাজি’ বলে সমালোচনা শুরু হয়। তবে সালাহউদ্দিন আম্মার বিষয়টিকে ‘ভয়াবহ মিডিয়া ট্রায়াল’ বলে অভিহিত করেছেন। আম্মার জানান, রাবি প্রশাসনকে প্রস্তাব দেওয়ার পর তারা জানিয়েছিল আর্থিক সহায়তা দিতে না পারলেও তারা অন্য সহযোগিতাগুলো করবে। এরপর উপাচার্যের সুপারিশ নিয়ে বিভিন্ন ব্যাংক, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সিটি করপোরেশনে আবেদন করেন তিনি।

সুপারিশের বিষয়ে জানতে চেয়ে উপাচার্য সালেহ হাসান নকীবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিরক্তি প্রকাশ করে মন্তব্য করতে অপারগতা জানান। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক স্ট্যাটাসে উপাচার্য বলেন, ‘বিভিন্ন কো-কারিকুলার, এক্সট্রা-কারিকুলার অনুষ্ঠান আয়োজনে সহায়তা চেয়ে বিভিন্ন সংগঠন ও ফ্যাকাল্টি থেকে শিক্ষার্থীরা সহায়তার জন্য আসে। আমরা যথাসাধ্য সাহায্য করার চেষ্টা করি। শুধুমাত্র কোন রাজনৈতিক দলের অনুষ্ঠানে সহায়তা করা থেকে প্রশাসন দূরে থাকে।’

স্ট্যাটাসে উপাচার্য আরও বলেন, ‘সহায়তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত ফান্ড একেবারে নেই বললেই চলে। এরা সবাই নির্ভর করে স্পন্সরশিপের উপর। স্পন্সরশিপের জন্য আবেদনের উপর এরা আমার রেকোমেন্ডেশন চায়। রেকোমেন্ডেশন চেয়েছে, কিন্তু পায় নি, এমন মনে করতে পারি না। আমি মনে করি, কো-কারিকুলার, এক্সট্রা-কারিকুলার, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের জন্য আমাদের শিক্ষার্থীরা যে উদ্যোগ নেবে তাতে আমার দিক থেকে সহযোগিতা থাকা প্রয়োজন। এটা আমি শুরু থেকেই করে আসছি।’

সালাহউদ্দিন আম্মারের প্রসঙ্গে উপাচার্য বলেন, ‘আজ ঠিক এই ধরনের একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সোর্স থেকে একের পর এক আমাকে প্রশ্ন করা হচ্ছে। আমি একদম প্রথম দিন থেকে যেভাবে এই সমস্ত উদ্যোগের সাথে ছিলাম, সেভাবেই থাকতে চাই। কিন্তু পরিবেশ এতটাই বিষাক্ত যে এরপর যেকোনো উদ্যোগে সাহায্য করার আগে আমাকে দশবার ভাবতে হবে।’

এ বিষয়ে সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘নগর ভবনের যে ফান্ড, সেখানে যে শুধু আমরাই প্রপোজাল দিয়েছি, তা নয়; বিভিন্ন বিভাগের প্রোগ্রাম আয়োজনের ক্ষেত্রেও সেখানে প্রপোজাল দেওয়া হয়। আমরা একটা প্রোগ্রাম আয়োজন করব, সে জন্য সিটি করপোরেশন বরাবর একটা প্রপোজাল দিই, আমরা তাদের লোগোটা ব্যবহার করব সেই স্পন্সর হিসেবে। আর এটাকে যদি কেউ চাঁদাবাজি বলে, তাহলে যত প্রোগ্রাম আয়োজন করা হয়, সবই চাঁদাবাজি।’



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button