টানা ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন পাটগ্রাম, জনদুর্ভোগ


লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলা টানা ২৪ ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন। এতে জনদুর্ভোগ চরমে উঠেছে। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। আজ মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করতে পারেনি নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো।
গতকাল রাতে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হওয়ার পরপরই পাটগ্রাম বিদ্যুৎ সরবরাহ দপ্তর নেসকো মাইকিং করে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ ৮ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে বলে জানায়।
স্থানীয় সূত্র ও সংশ্লিষ্ট দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সিমেন্টের তৈরি খুঁটি দিয়ে ৩৩ কেভি সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে নীলফামারী জেলার জলঢাকা গ্রিড সাবস্টেশন থেকে পাটগ্রাম সাবস্টেশনে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। খেতের জমিতে বিদ্যুতের এসব খুঁটির অবস্থান। এসব জমিতে বৃষ্টির পানি জমে থাকায় খুঁটিগুলোর গোড়া নরম হয়ে গেছে। এতে হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের জোড়াপুকুর স্থানে বিদ্যুৎ সরবরাহ সঞ্চালন লাইনের দুটি খুঁটি হেলে পড়ায় পাটগ্রাম উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।
গতকাল রাতেই পাটগ্রামে নেসকো বিদ্যুৎ লাইন দ্রুত মেরামতের আশ্বাস দিয়ে মাইকিং করে। বিদ্যুৎ লাইন ঠিক করার জন্য তারা ৮ ঘণ্টা সময় নিলেও পেরিয়ে গেছে ২৪ ঘণ্টা।
এদিকে বিদ্যুৎ না থাকায় হাসপাতাল, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও সাধারণ মানুষ পড়েছে চরম ভোগান্তিতে। বিশেষ করে, গরমে ফ্যান বন্ধ থাকায় শিশু ও বয়স্করা সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে।
পাটগ্রাম পৌরসভার মাস্টারপাড়া এলাকার বাসিন্দা খায়রুন নেছা বলেন, ‘বিদ্যুৎ না থাকায় বাচ্চাদের নিয়ে রাতে ঘুমানো যায়নি। মোবাইল, ফ্রিজ, পানি তোলার কাজে মোটর ব্যবহার করা সম্ভব হয়নি।’
পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা দেবব্রত কুমার রায় বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে বিদ্যুৎ নেই। হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের কষ্ট হচ্ছে। জেনারেটর চালিয়ে রোগীদের ২-৩ ঘণ্টা সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। তেলের বরাদ্দ কম থাকায় সব সময় চালানো যাচ্ছে না। ফ্রিজে ভ্যাকসিন রয়েছে। আরও দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না থাকলে এগুলো নষ্ট হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
নেসকোর পাটগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) স্পন্দন বসাক বলেন, বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে গেছে। ছয়টা খুঁটি পড়েছে। লোকজন কাজ করছে। বিদ্যুৎ স্বাভাবিক হতে আরও সময় লাগবে।