ইইউতে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন বন্ধের কারণ জানাল মেটা


সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও থ্রেডসের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা চলতি বছরের অক্টোবরে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) সব ধরনের রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন বন্ধ করে দেবে। নতুন আইনকে ‘অকার্যকরযোগ্য’ দাবি করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটি।
এক ব্লগ পোস্টে মেটা জানায়, ইইউর নতুন ‘ট্রান্সপারেন্সি অ্যান্ড টার্গেটিং অব পলিটিক্যাল অ্যাডভার্টাইজিং’ নিয়মের জটিলতা ও আইনি অনিশ্চয়তা এই সিদ্ধান্তের পেছনে মূল কারণ।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনদাতাদের জানাতে হবে—কে বিজ্ঞাপনটির অর্থায়ন করেছে, সেটি কোন প্রচারণা, গণভোট বা আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত এবং কীভাবে সেটি নির্দিষ্ট ব্যবহারকারীদের সামনে পৌঁছানো হয়েছে। এসব তথ্য একটি উন্মুক্ত ডেটাবেইসে সংরক্ষণ করতে হবে। বিজ্ঞাপন লক্ষ্যকরণে কঠোর নিয়ন্ত্রণও আরোপ করা হয়েছে।
মেটা বলেছে, এসব নিয়ম তাদের বিদ্যমান প্রক্রিয়া ও ব্যবস্থায় ‘অতিরিক্ত জটিলতা’ এবং ‘আইনি অনিশ্চয়তা’ তৈরি করেছে, যা প্ল্যাটফর্ম ও বিজ্ঞাপনদাতাদের জন্য অসহনীয় পরিস্থিতির জন্ম দিচ্ছে।
কোম্পানিটি বলে, ‘এই নিয়মগুলো আমাদের ইউরোপীয় ইউনিয়নে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন চালানোর প্রক্রিয়াকে অকার্যকর করে তুলেছে।’
ইতিমধ্যেই একই ধরনের ঘোষণা দিয়েছে গুগলও। তারা আগেই বলেছে, নতুন নিয়ম কার্যকর হওয়ার আগে ইইউতে তারা রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন বন্ধ করবে।
ইইউর নতুন আইন ১০ অক্টোবর থেকে কার্যকর হতে যাচ্ছে। নিয়ম ভঙ্গ করলে যে কোনো কোম্পানিকে তাদের বার্ষিক বৈশ্বিক আয়ের ৬ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানা করা যেতে পারে।
তবে মেটা নিশ্চিত করেছে, এই সিদ্ধান্ত ইইউর ব্যবহারকারীদের রাজনৈতিক আলোচনা করতে বা রাজনীতিবিদ, প্রার্থী ও সরকারি কর্মকর্তাদের নিজ উদ্যোগে রাজনৈতিক বিষয়বস্তু প্রকাশ করতে বাধা দেবে না।
ব্লগ পোস্টে বলা হয়, ‘তারা শুধুমাত্র অর্থ খরচ করে এসব কনটেন্ট আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারবে না।’
ইউরোপীয় ইউনিয়নের ডিজিটাল নিরাপত্তা ও নাগরিকদের গোপনতা রক্ষায় নেওয়া সাম্প্রতিক পদক্ষেপগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। তবে এসব কঠোর নিয়ম প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে।
তথ্যসূত্র: এপি