শিরোনাম

পুরোনো গাড়ির মেয়াদ বাড়ানোর দাবিতে ৭২ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটের হুমকি

পুরোনো গাড়ির মেয়াদ বাড়ানোর দাবিতে ৭২ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটের হুমকি

পুরোনো গাড়ির ইকোনমিক লাইফ বাড়ানো, সড়ক পরিবহন আইন সংশোধন, অগ্রিম আয়কর হ্রাস ও রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানির বয়সসীমা বাড়ানোসহ আট দফা দাবিতে সারা দেশে ৭২ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক সমন্বয় পরিষদ। সংগঠনটি জানিয়েছে, আগামী ১১ আগস্টের মধ্যে দাবি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া না হলে পরদিন সকাল ৬টা থেকে ১৫ আগস্ট শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সারা দেশে সব ধরনের বাণিজ্যিক যানবাহন (বাস, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, প্রাইম মুভার) ও হালকা যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।

রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আবদুস সালাম হলে আজ রোববার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ধর্মঘটের ঘোষণা দেওয়া হয়।

পুরোনো যানবাহনের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের পক্ষ থেকে বলা হয়, এ ধরনের যানবাহন পরিবেশদূষণের জন্য দায়ী নয়; বরং অপরিকল্পিত জ্বালানি ব্যবহার ও যন্ত্রাংশের অনিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ এর জন্য দায়ী। তাই যেসব গাড়ি ফিটনেস টেস্টে উত্তীর্ণ হবে না, সেগুলো চলাচলে অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে।

এ ছাড়া পুরোনো যানবাহনের চলাচলে পুরোনো নিয়ম বহাল রেখে মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে ফিটনেস সাপেক্ষে চলার অনুমতির দাবি জানায় সংগঠনটি।

পরিষদ জানায়, এই খাত দেশের যোগাযোগ, অর্থনীতি ও পণ্য পরিবহনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই এই খাতকে শৃঙ্খলিত, দুর্ঘটনামুক্ত ও দুর্নীতিমুক্ত করে টেকসই পরিবহনব্যবস্থা গড়ে তুলতে তারা বদ্ধপরিকর।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব সাইফুল আলম আট দফা দাবি তুলে ধরেন। সেগুলো হচ্ছে—

* সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮-এর ৯৮ ও ১০৫ ধারা সংশোধনসহ অতিরিক্ত কিছু ধারা পুনর্বিবেচনা।

* বাণিজ্যিক মোটরযানের ইকোনমিক লাইফ ২০ ও ২৫ বছর থেকে বাড়িয়ে ৩০ বছর করা। এই সমস্যা নিরসন না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ২০ ও ২৫ বছরের পুরোনো গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান স্থগিত রাখতে হবে।

* বাণিজ্যিক যানবাহনের ওপর দ্বিগুণ অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার করে পূর্বের হার বহাল রাখা।

* রিকন্ডিশন্ড বাণিজ্যিক গাড়ি আমদানির মেয়াদ ৫ বছর থেকে বাড়িয়ে ১২ বছর করা।

* দুর্ঘটনায় জব্দকৃত গাড়ি ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মালিকের জিম্মায় ফিরিয়ে দেওয়ার বিধান বাস্তবায়ন।

* মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহনের জন্য স্ক্র্যাপ নীতিমালা প্রণয়ন।

* মহাসড়কে অটোরিকশা, টেম্পো ও অনুমোদনহীন হালকা যান পৃথক লেনে চালানোর ব্যবস্থা।

* ড্রাইভিং লাইসেন্স দ্রুত ডেলিভারি ও শ্রমিক ফেডারেশনের ১২ দফা বাস্তবায়ন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি কফিল উদ্দিন আহমেদ, কার্যকরী সভাপতি এম এ বাতেন, মহাসচিব মো. সাইফুল আলম, সহসভাপতি হাজি মো. তোফাজ্জল হোসেন মজুমদার, বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান রমেশ চন্দ্র ঘোষ, সহসাধারণ সম্পাদক এম হুমায়ূন কবির, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আব্দুর রহিম বক্স দুদু, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবির খান প্রমুখ।



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button