শিরোনাম

স্বামীর মোবাইলে স্ত্রীর আপত্তিকর ভিডিও পাঠিয়ে টাকা দাবি, কলহের জেরে স্ত্রীর আত্মহত্যা

স্বামীর মোবাইলে স্ত্রীর আপত্তিকর ভিডিও পাঠিয়ে টাকা দাবি, কলহের জেরে স্ত্রীর আত্মহত্যা

পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলায় মোসা. আইমিন (২৮) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার বিকেলে উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ বিন্না গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত আইমিন একই গ্রামের ফাইজুল হক ও আখতারুননাহারের মেয়ে। তিনি মো. রাজু মাঝির স্ত্রী। ওই দম্পতির ঘরে রয়েছে দুটি ছোট শিশুসন্তান।

প্রতিবেশীদের দাবি, চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে আইমিনের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের একটি ভিডিও স্বামীর মোবাইল ফোনে পৌঁছানোর পর দাম্পত্য কলহ চরমে ওঠে। ধারণা করা হচ্ছে, সেই ঘটনার জেরে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।

আইমিনের স্বামী রাজু মাঝি জানান, ‘আমার স্ত্রীর সঙ্গে তার চাচাতো ভাই ইয়াসিনের পরকীয়া ছিল। সম্প্রতি ইয়াসিন আমার ইমো নম্বরে তাদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের একটি ভিডিও পাঠায়। পরে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে সে ২০ হাজার টাকা দাবি করে। আমি ১০ হাজার টাকা জোগাড় করে দিই। এরপর বিষয়টি নিয়ে আমার স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া হয়। এ ঘটনার রেশ ধরেই হয়তো সে আত্মহত্যা করেছে।’

নিহতের মা আখতারুননাহার বলেন, ‘আমার মেয়ে ও জামাই দুজনেই ঢাকায় থাকত। ভিডিওটি নিয়ে কিছুদিন আগে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে মেয়ে বাড়ি চলে আসে। গত রাতে জামাই বাড়িতে এলে তাদের মধ্যে আবারও ঝগড়া হয়। সেই ঘটনার পর হয়তো মেয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছে কিংবা কেউ তাকে মেরে ঝুলিয়ে রাখতে পারে।’

জানতে চাইলে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. বাবুল হোসেন বলেন, ‘রাজু মাঝি ও আইমিনের একবার বিচ্ছেদ হয়েছিল। পরে তারা আবার একসঙ্গে থাকতে শুরু করে। শুনেছি, আইমিন ও তার চাচাতো ভাইয়ের সম্পর্ক নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। তবে কীভাবে তার মৃত্যু হলো, তা বলা মুশকিল।’

এ বিষয়ে নেছারাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বনি আমিন বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে। এটি আত্মহত্যা নাকি অন্য কোনো ঘটনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়েছে এবং জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রোববার সকালে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।’



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button