তরমুজের ট্রলারে ডাকাতি, গণপিটুনিতে এক ডাকাতের মৃত্যু


ক্রাইম জোন ২৪।। পটুয়াখালীর বাউফলে তরমুজের ট্রলার ডাকাতির সময় গণপিটুনিতে এক ডাকাত সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১৫ মার্চ) দুপুরে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই ডাকাত সদস্যের মৃত্যু হয়। তবে পুলিশ এখনো পর্যন্ত তার নাম-পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি।
সূত্র জানায়, গলাচিপার চরকাজল থেকে ১০ হাজার পিস তরমুজ নিয়ে চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল একটি ট্রলার। শনিবার ভোর রাতে তরমুজ বোঝাই ট্রলারটি বাউফলের কেশবপুর এলাকা অতিক্রমের সময় ৭-৮ জনের একদল ডাকাত একটি দ্রুতগতির ট্রলার নিয়ে সেটির পিছু নেয়। একপর্যায়ে ডাকাতদল তেঁতুলিয়া নদীর কালা মিয়ার বাজার এলাকায় পথরোধ করে ট্রলারটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়।
ডাকাত দল ট্রলারে থাকা চালকসহ ৮ জনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে। এ সময় আহত এক ব্যক্তি এক ডাকাত সদস্যকে জাপটে ধরে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়লে অন্য ডাকাতরা পালিয়ে যায়। পরে হামলার শিকার আহতদের ডাকচিৎকারে স্থানীয়রা এসে ডাকাত দলের সদস্যসহ তাদেরকে উদ্ধার করেন।
স্থানীয়রা আটক ওই ডাকাতকে গণপিটুনি দিলে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। ডাকাত দলের হামলায় আহতরা হলেন- সহিদুল মাতুব্বর, ফিরোজ মাতুব্বর, বারেক মাতুব্বর, ফরহাদ হোসেন, হাবু পেশকার, ফয়সাল, মেহেদি ও সেলিম।
গুরুতর আহত অবস্থায় সহিদুল মাতুব্বর, মেহেদি হাসান ও সেলিম মাঝিকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আর আহত ডাকাত সদস্যকে নেওয়া হয় পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়।
বাউফল থানার ওসি (তদন্ত) আতিকুল ইসলাম বলেন, “ভোররাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ডাকাত দলের এক সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। এখন পর্যন্ত তার নাম-পরিচয় জানা যায়নি। তরমুজ বোঝাই ট্রলারটি আইনী প্রক্রিয়া শেষ করে দ্রুত ছেড়ে দেওয়া হবে।”