চামড়াশিল্পে ডিউটি ড্রব্যাক ফেরানোর দাবি বিটিএর


নন-বন্ড ট্যানারি ও বাণিজ্যিক রপ্তানিকারকদের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানির জন্য কাঁচামাল আমদানির ওপর আরোপিত শুল্ক ফেরতের সুবিধা (ডিউটি ড্রব্যাক সুবিধা) পুনঃপ্রবর্তনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএ)। সম্প্রতি সংগঠনটির পক্ষ থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান বরাবর পাঠানো এক চিঠিতে এই দাবি জানানো হয়।
বিটিএ সভাপতি শাহিন আহমেদের স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, ২০১৮-১৯ অর্থবছর পর্যন্ত চামড়াশিল্পে ডিউটি ড্রব্যাক সুবিধা চালু ছিল। কিন্তু ২০১৯-২০ অর্থবছর থেকে কোনো আলোচনা ছাড়া ‘শুল্ক ও আরডি’ সমহারের ভিত্তিতে প্রত্যর্পণ কার্যকর করা হয়। এতে আগের তুলনায় ৬০ থেকে ৭৫ শতাংশ কম ফেরত পাওয়া যায়। আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কায় রপ্তানিকারকেরা এখনো সেই হ্রাসকৃত হারে প্রত্যর্পণ নেননি।
সংগঠনটি বলছে, সুবিধাটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় হাইড অ্যান্ড স্কিন, কেমিক্যাল, হার্ডওয়্যার, প্যাকেজিংসহ আমদানিনির্ভর কাঁচামালের ব্যয় বেড়েছে। এর ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে।
চিঠিতে তিনটি দাবি উত্থাপন করেছে বিটিএ। এগুলো হচ্ছে, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যে পুনরায় ডিউটি ড্রব্যাক সুবিধা চালু করা; রপ্তানিকারকদের জন্য শুল্ক, ভ্যাটসহ করের চাপ কমানো এবং আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা ধরে রাখতে সরকারি সহায়তা প্রদান।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ডিউটি ড্রব্যাক সুবিধা ফিরিয়ে আনা হলে চামড়াশিল্পে উৎপাদন ব্যয় কমবে, রপ্তানি বাড়বে এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সহজ হবে।
বিটিএর নেতারা আশা প্রকাশ করেছেন, সরকার দ্রুত ইতিবাচক পদক্ষেপ নেবে এবং চামড়াশিল্পের সংকট উত্তরণে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
ক্রাইম জোন ২৪