শিরোনাম

ইরানের জ্বালানি খাতে ঘন-ঘন আগুন, ইসরায়েলের সংশ্লিষ্টতার ইঙ্গিত

ইরানের জ্বালানি খাতে ঘন-ঘন আগুন, ইসরায়েলের সংশ্লিষ্টতার ইঙ্গিত

ইরানের তেল, গ্যাস ও পেট্রোকেমিক্যাল স্থাপনাগুলোতে সাম্প্রতিক সময়ে ঘন ঘন অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণকে ‘অস্বাভাবিক ও বিপজ্জনক’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন দেশটির একজন জ্যেষ্ঠ সংসদ সদস্য। এসবের মধ্যে অন্তত কিছু ঘটনার জন্য তিনি ইসরায়েলের সম্ভাব্য তৎপরতাকে দায়ী করেছেন।

ইরানের সংসদের জ্বালানি কমিটির সদস্য মোহাম্মদ বাহরামি দেশটির সংবাদমাধ্যম ‘দিদবান ইরান’-কে বলেন, ‘এই বছর তেল, গ্যাস ও পেট্রোকেমিক্যাল স্থাপনাগুলোর মধ্যে যেসব অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে, সেগুলোর ধরন স্বাভাবিক নয়। কিছু স্থানে বারবার এবং স্বল্প সময়ের ব্যবধানে এই ঘটনা ঘটেছে। যা খুবই স্পর্শকাতর।’

বাহরামি জানান, বেশির ভাগ ঘটনার পেছনে পুরোনো যন্ত্রপাতি ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাব দায়ী হলেও ইসরায়েলের অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ডের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

তাঁর ভাষ্য মতে—৫০ শতাংশ ঘটনা ঘটেছে পুরোনো যন্ত্রাংশ, পর্যাপ্ত রক্ষণাবেক্ষণের অভাব এবং পুরোনো মনিটরিং সিস্টেমের কারণে। ৩০ শতাংশের জন্য দায়ী মানবিক ভুল, অপারেশনাল কর্মীদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের অভাব ও নিরাপত্তা প্রটোকল না মানা। বাকি ২০ শতাংশ ঘটনার পেছনে রয়েছে ব্যবস্থাপনার ব্যর্থতা, জরুরি সাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে দেরি, দুর্বল নিরাপত্তা বাজেট, অপ্রতুল ডিজিটাল সতর্কতা ব্যবস্থা এবং সাম্প্রতিক ইসরায়েলি শত্রুতার প্রভাব।

গত মাসে নিউ ইয়র্ক টাইমস-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের কর্মকর্তারা মনে করছেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সাম্প্রতিক সময়ের অজ্ঞাত আগুন ও বিস্ফোরণের পেছনে সমন্বিত অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ডের ইঙ্গিত রয়েছে।

‘দিদবান ইরান’ জানিয়েছে, দেশের তেল-গ্যাস অবকাঠামোয় চলতি বছরের (যার শুরু মার্চের শেষ দিকে) প্রথমার্ধে কমপক্ষে ১২টি বড় ও মাঝারি মাত্রার অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণ ঘটেছে।

বাহরামি জানান, এসব ঘটনায় খার্গ পেট্রোকেমিক্যাল কমপ্লেক্স ও আবাদান রিফাইনারিতে প্রাণহানিও ঘটেছে। গ্যাস ইউনিটগুলো দিনের পর দিন বন্ধ থেকেছে। এতে উৎপাদন ও রপ্তানি—উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের আন্তর্জাতিক বিমা এবং জ্বালানি বাজারে সুনামও নষ্ট হয়েছে।’



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button