পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির জন্য ১৫ সরকারি কোম্পানি চূড়ান্ত


সরকারি মালিকানাধীন লাভজনক ও মৌলভিত্তিসম্পন্ন ১৫টি কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনার আলোকে গত ৩১ জুলাই অর্থ মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী। গতকাল রোববার বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম এ তথ্য জানান।
বৈঠকে বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ, শিল্প মন্ত্রণালয়, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, পেট্রোবাংলা, আইসিবি এবং মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে সরকারি কোম্পানিগুলোর পাশাপাশি যেসব বিদেশি ও বহুজাতিক কোম্পানিতে সরকারের মালিকানা রয়েছে, সেগুলোকেও তালিকাভুক্ত করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়। অংশীজনদের মধ্যে সহযোগিতা ও সমন্বয়ের মাধ্যমে তালিকাভুক্তির কার্যক্রম দ্রুত বাস্তবায়নের ওপর জোর দেওয়া হয়।
তালিকাভুক্তির জন্য প্রাথমিকভাবে নির্ধারিত কোম্পানিগুলো হলো ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড, কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো), সাইনোভিয়া বাংলাদেশ লিমিটেড (সাবেক স্যানোফি), নোভারটিস (বাংলাদেশ) লিমিটেড, সিনজেন্টা (বাংলাদেশ) লিমিটেড, নেসলে বাংলাদেশ পিএলসি, পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড, নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড, বি-আর পাওয়ারজেন লিমিটেড, সিলেট গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড, বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড, জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, কর্ণফুলী গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড, সাধারণ বীমা করপোরেশন এবং জীবন বীমা করপোরেশন।
বৈঠকে ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেন, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তি ওই কোম্পানিগুলোর সুশাসনের পাশাপাশি স্বচ্ছতা, জবাবদিহি বাড়বে। একই সঙ্গে কোম্পানিগুলোর ভ্যালুয়েশন তথা বাজারমূল্যও পাওয়া যাবে। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তি কোম্পানিগুলোর জন্য যেমন ইতিবাচক ফল আনবে, তেমনি দেশের পুঁজিবাজারের জন্যও সুফল বয়ে আনবে।