দেশের প্রথম জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ ‘অদম্য-২৪’


২০২৪ সালের জুলাই মাস বাংলাদেশের ইতিহাসের আরও একটি যুগান্তকারী অধ্যায়। এ সময় দেশজুড়ে শিক্ষার্থীরা বৈষম্যের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠে, যার চূড়ান্ত পরিণতিতে পতন ঘটে শেখ হাসিনা সরকারের। সেই বীরত্বগাথা আন্দোলনে আগ্রণী ভূমিকায় ছিল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। সারা দেশে ছড়িয়ে পড়া প্রতিবাদী চেতনা, সাম্য ও মানবিক মর্যাদার লড়াইয়ের প্রতীক হয়ে উঠে এসেছে একটি স্মৃতিচিহ্ন—‘অদম্য-২৪’।
২০২৪ সালের ১৮ ও ১৯ জুলাই, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির ডাক দেন। কর্মসূচি চলাকালে বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ও ছাত্রলীগের হামলায় শতাধিক শিক্ষার্থী নিহত ও অসংখ্য আহত হন। সেই বেদনাবিধুর ঘটনার স্মরণে ২০ জুলাই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন ফজিলাতুন নেছা হলের সামনে স্থাপিত হয় দেশের প্রথম ‘জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ’ ‘অদম্য-২৪’। এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরাই।
এই স্মৃতিস্তম্ভের নকশা করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের ৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. রাঈদ হোসেন। নকশা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই স্মৃতিস্তম্ভের নকশায় রয়েছে তিনটি অগ্নিশিখা, যা কেবল আগুন নয়, প্রতিবাদের প্রতীক। মধ্যের শিখাকে কেন্দ্র করে অপর দুটি শিখা ২৪ ডিগ্রি কোণে বাঁকানো, যা ২০২৪ সালের বিপ্লবের স্মারক হিসেবে বিবেচিত। তিনটি শিখা সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে।’
২০২৫ সালের ৩১ জুলাই স্মৃতিস্তম্ভটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।