মহড়া দিয়ে রাকসু দখলের স্বপ্ন না দেখার পরামর্শ ছাত্রদল নেতার


মহড়া দিয়ে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের (রুয়া) মতো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) দখলের পরিকল্পনা থাকলে চোখে পানি দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন শাখা ছাত্রদল সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী।
আজ বুধবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরের সমাবেশে তিনি এই কথা বলেন। নবগঠিত শাখা ছাত্রদল এই আনন্দ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করে।
সমাবেশে সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, শত শত শিক্ষার্থী রক্ত দেবে, জীবন উৎসর্গ করে দেবে, তবুও ষড়যন্ত্রমূলক রাকসু নির্বাচন হতে দেবে না। সাধারণ শিক্ষার্থীদের কল্যাণ ও মর্যাদা রক্ষায় অবিলম্বে রাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বাংলাদেশপন্থী সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সংগঠনসহ যারা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব করার স্বপ্ন দেখে, সেসব ছাত্রনেতার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
রাহী আরও বলেন, বর্তমান উপাচার্য শিক্ষার্থীদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করে তথাকথিত কিছু শিক্ষার্থীর সঙ্গে বিভিন্ন ব্যাংক-সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাঁদার নাম করে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে কি না, এই প্রশ্ন জাগে। তাঁকে স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয়ে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন নাকি তথাকথিত ছাত্রনেতাদের ব্যাংক ব্যালেন্স বাড়ানোর দায়িত্ব নিয়েছেন। সুপারিশের বিষয়ে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা না দিলে তাঁর চেয়ার পদ্মা নদীতে ফেলে দেওয়া হবে।
সিনিয়র সহসভাপতি শাকিলুর রহমান সোহাগ বলেন, জুলাই-আগস্টে সর্বোচ্চ শাহাদাতবরণকারী ও বিভিন্ন স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে সর্বোচ্চ ত্যাগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। সামনে রাকসু নির্বাচন, যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, যাঁরা ৫ আগস্টের আগে আওয়ামী লীগের সঙ্গে এক হয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরোধিতা করেছিলেন, তাঁদের বিচার করা হয়নি। তাঁরা ছাত্রদলের সঙ্গে আলোচনা না করেই চাপের মুখে রাকসু তফসিল ঘোষণা করেছেন।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সরদার জহুরুলের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল মিঠু। উপস্থিত ছিলেন সহসভাপতি মেহেদী হাসান, সাবিহা আলম মুন্নি ও জান্নাতুন নাঈম তুহিনা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাহের রহমান, জাহিন বিশ্বাস, দপ্তর সম্পাদক নাফিউল জীবন প্রমুখ।