প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিল অনুমোদনে ঘুষ দাবির অভিযোগ


নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার কৈলং শেখবাড়ী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ঘুষ দাবির অভিযোগ তুলেছেন প্রতিষ্ঠানটির এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। তাঁদের দাবি, সরকারি বেতনকাঠামোর আওতায় নির্ধারিত এরিয়া বিল (বকেয়া) অনুমোদন পেলেও প্রধান শিক্ষক স্বাক্ষরের বিনিময়ে অর্ধেক টাকা দাবি করছেন।
এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে স্কুলের শিক্ষক-কর্মচারীরা গত ২৭ মে এই অভিযোগ করেন। অভিযোগে স্কুলের তিনজন সহকারী শিক্ষক ও দুজন কর্মচারী স্বাক্ষর করেন। পরে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলেন ইউএনও। আজ শুক্রবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুয়েল সাংমা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
লিখিত অভিযোগে শিক্ষক-কর্মচারীরা উল্লেখ করেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বিদ্যালয়ের সব শিক্ষক ও কর্মচারীর এরিয়া বিল অনুমোদন হয়েছে। কিন্তু বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান, বিলের অর্ধেক টাকা না দিলে তিনি বিলপত্রে স্বাক্ষর করবেন না এবং কর্তৃপক্ষের কাছে তা পাঠাবেন না।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষককে একাধিকবার অনুরোধ করলেও তিনি তাঁর অবস্থানে অনড় রয়েছেন বলে অভিযোগকারীদের দাবি। ফলে শিক্ষক-কর্মচারীরা তাঁদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন। এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক শেখ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘পাওনা টাকা চাওয়ায় ঘুষের অভিযোগ করছে। অভিযোগ সত্য নয়, এটা একটা ষড়যন্ত্র। ইতিমধ্যে আমি স্বাক্ষর করে দিয়েছি, কয়েকজন টাকা পেয়েও গেছে। অন্য অনেক স্কুলে তো এরিয়া বিল দেয়ই না। আমি তো তবু দিচ্ছি।’
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আতিকুর রহমান বলেন, ‘বারবার বলার পরও প্রধান শিক্ষক এরিয়া বিলে স্বাক্ষর করছেন না। অন্যান্য স্কুলে অনেক আগেই এরিয়া বিল দিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুধু এই স্কুলে এরিয়া বিল আটকে আছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছিল। ইতিমধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছি।’
ইউএনও রুয়েল সাংমা বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন এখনো হাতে পাইনি। প্রতিবেদন দেখে যদি অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়, তাহলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।