শিরোনাম
পেহেলগামের ঘটনা ভুলে গেলে কি চলবে, প্রশ্ন ভারতীয় ক্রিকেটারেরপিএসসি-দুদক-সিএজি ও ন্যায়পাল নিয়োগের বিধান থাকবে সংবিধানে, সিদ্ধান্ত কমিশনেরটানা সপ্তাহখানেক বৃষ্টি থাকবেমিয়ানমারে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার, ডিসেম্বরেই নির্বাচনবৃক্ষরোপণ—সবুজে আঁকা ইবাদতের ছবিডিবির হারুনকে ‘জিন’ ডাকতেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী: সাবেক আইজিপির জবানবন্দিবাঙ্গালী নদীতে ভেসে এলো অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধারহাওরে মাছ ধরার সময় বিদ্যুতায়িত হয়ে তরুণের মৃত্যুসেপটিক ট্যাংক থেকে মানি ব্যাগ তুলতে গিয়ে যুবকের মৃত্যুহাসিনা আমলের নির্যাতনের অবসান হলেও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমন, বিচারবহির্ভূত গ্রেপ্তার অব্যাহত: এইচআরডব্লিউ

মৌলিক সংস্কার ও আইনি ভিত্তির নিশ্চয়তা ছাড়া সনদে সই করবে না এনসিপি

মৌলিক সংস্কার ও আইনি ভিত্তির নিশ্চয়তা ছাড়া সনদে সই করবে না এনসিপি

জুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণাপত্রের পার্থক্য তুলে ধরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেছেন, ‘অনেকে ভাবছেন জুলাই সনদে সই করা মানেই আমরা সব মেনে নিচ্ছি, এটা ভুল। আমরা মৌলিক সংস্কার এবং আইনি ভিত্তির নিশ্চয়তা ছাড়া কোনো সনদে সই করব না।’

আজ বুধবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের ২২তম দিনের সংলাপের বিরতিতে এসব কথা বলেন এই এনসিপি নেতা।

আখতার হোসেন আরও বলেন, ‘আমাদের ভাইয়েরা গণঅভ্যুত্থানে জীবন দিয়েছেন। তাঁদের সেই আত্মত্যাগ যেন একটি বাস্তব ভিত্তির জুলাই ঘোষণাপত্রে প্রতিফলিত হয়, আমরা সেটাই চাই।’

এনসিপি সদস্যসচিব মনে করেন, জুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণাপত্রকে ভুলভাবে গুলিয়ে ফেলা রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত একটি প্রচারণা হতে পারে, যা এনসিপির অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

তিনি বলেন, ‘জুলাই ঘোষণাপত্র এবং জুলাই সনদ এই দুইটা আলাদা ডকুমেন্ট। কিন্তু এই দুইটা ডকুমেন্টকে গুলিয়ে ফেলছে অনেকেই, যেটা জাতীয় নাগরিক পার্টির অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।’

আখতার হোসেন ব্যাখ্যা করে বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্র হচ্ছে গত বছরের আগস্টের গণঅভ্যুত্থান এবং ৫ আগস্টের বিজয়ের একটি ঐতিহাসিক স্বীকৃতি, যার একটি আইনি ভিত্তি থাকা দরকার। এটি একটি ঐতিহাসিক দলিল। অন্যদিকে, জুলাই সনদ হচ্ছে রাজনৈতিক সংস্কারের বিষয়ে ঐক্যমতের ভিত্তিতে কমিশনে আলোচিত প্রস্তাবগুলোর একটি বাস্তবায়নযোগ্য রূপরেখা।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাই না এমন একটি অকার্যকর, অপূর্ণ এবং মৌলিক সংস্কারবিহীন জুলাই সনদ তৈরি হোক, যেটা তিন দলের অতীত রূপরেখার মতো শুধু ইতিহাসের দলিল হয়ে থাকবে। আমরা চাই, জুলাই সনদটি হবে কার্যকর, পূর্ণাঙ্গ সংস্কার ধারণকারী, আইনি ভিত্তিসম্পন্ন এবং তাৎক্ষণিকভাবে বাস্তবায়নযোগ্য।’

আখতার হোসেন আরও জানান, কমিশনের প্রাথমিক খসড়ায় দুই বছরের বাস্তবায়নকালের উল্লেখ আছে যা এনসিপি দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করে। তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, এ ধরনের বিলম্বিত বাস্তবায়নের প্রস্তাব প্রতারণার সুযোগ তৈরি করে এবং জনগণের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে প্রতারণা করার শামিল।’

জুলাই ঘোষণাপত্র সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমরা একবিন্দু ছাড় দিতে রাজি না। সরকার যদি ৩৬ জুলাইয়ের মধ্যে ঘোষণাপত্র জারি না করে, তাহলে এনসিপি দেশের ফ্যাসিবাদবিরোধী সব পক্ষকে সঙ্গে নিয়ে নিজেরা তা জারি করবে।’

সরকার একটি খসড়া দিয়েছে জানিয়ে আখতার বলেন, ‘আমরা সরকারকে আমাদের পক্ষ থেকে একটি পরিণত খসড়া দিয়েছি এবং আলোচনার মধ্যেই রয়েছি। কিন্তু এখনো পর্যন্ত তেমন অগ্রগতি চোখে পড়ছে না।’

তিনি আরও জানান, সরকার যদি আন্তরিক হয় এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দল সমন্বয় করে, তবে ৩৬ জুলাইয়ের মধ্যেই একটি পরিপূর্ণ, আইনি ও সাংবিধানিক ভিত্তিসম্পন্ন ঘোষণাপত্র জারি করা সম্ভব।



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button