জুলাই অভ্যুত্থানের হত্যা মামলায় দুই দিনের রিমান্ডে হাজী সোলাইমান সেলিম


সাবেক সংসদ সদস্য হাজী সোলাইমান সেলিমকে একটি হত্যা মামলার দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে রাজধানীর তিন থানার পৃথক মামলায় সাবেক এমপি সাদেক খান, আ ক ম সরওয়ার জাহান বাদশা, মনিরুল ইসলাম মনুসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিলরুবা আফরোজ তিথি এসব আদেশ দেন।
সাবেক সংসদ সদস্য ও অন্যান্যদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। সংশ্লিষ্ট মামলা গুলোর তদন্ত কর্মকর্তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত রিমান্ড ও গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দেন।
সোলায়মান সেলিমের রিমান্ড মঞ্জুর
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর সূত্রাপুর থানার মামলায় শিক্ষার্থী নাদিমুল হাসান এলেম ওরফে এলেম আল ফায়দি (২২) নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় সাবেক এমপি সোলায়মান সেলিমের দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক নিজাম উদ্দিন আহমেদ ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, জুলাই আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৯ জুলাই আন্দোলনকারীরা সূত্রাপুর থানার শহীদ সোহরাওয়ার্দী সরকারি কলেজ ও কবি নজরুল কলেজের সামনে আন্দোলনের সমর্থনে মিছিল করছিল। এ সময় মিছিলরত ছাত্র-জনতার ওপর আক্রমণ করে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এসময় আন্দোলনকারীদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে। পরে বেলা পৌনে তিনটায় শেখ বোরহানুদ্দীন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কলেজের শিক্ষার্থী নাদিমুল হাসান এলেম ওরফে এলেম আল ফায়দি বাম চোখে গুলিবিদ্ধ হন। গুরুতর আহত নাদিমুল হাসান এলেমকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ২২ আগস্ট সূত্রাপুর থানায় মামলা হয়। এ মামলায় সোলায়মান সেলিম ১০ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি।
৫ জন পৃথক মামলায় গ্রেপ্তার
সাবেক এমপি সাদেক খান, আ ক ম সরওয়ার জাহান বাদশা, মনিরুল ইসলাম মনু, পুলিশের এডিসি রফিকুল ইসলাম ও যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসানকে পৃথক পৃথক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
আদালতসূত্রে জানা গেছে, মনিরুল ইসলাম মনুকে যাত্রাবাড়ী থানার ৬ মামলায়, আবুল হাসানকে একই থানার শিক্ষার্থী হাসান উদ্দিন হত্যা মামলায়, সরওয়ার জাহানকে মোহাম্মদপুর থানার সোহেল রানা হত্যাচেষ্টা মামলায়, একই থানার মো. হোসেন হত্যা মামলায় সাদেক খান, রাজধানীর বাড্ডা থানার ইমন হত্যা মামলায় পুলিশের এডিসি রফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বিভিন্ন সময়ে ও তারিখে আসামিদের আটক করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পরে তাদের বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে দফায় দফায় রিমান্ডে নেওয়া হয়।