খালেদা, তারেক ও ফখরুলকে ঘেরাও করতে চাওয়া সেই বিএনপি নেতা বহিষ্কার


নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা বিএনপির সদস্য লুৎফর রহমান খোকাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দলীয় প্যাডে এক বিবৃতিতে এই বহিষ্কারাদেশ দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
গত সপ্তাহে নারায়ণগঞ্জে পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচনী মনোনয়ন না দেওয়া হলে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ তারেক রহমান ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ঘেরাও করার ঘোষণা দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন লুৎফর রহমান খোকা।
আজ বিএনপির বিবৃতিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও নীতি-আদর্শ পরিপন্থী কার্যকলাপের জন্য ফতুল্লা থানা বিএনপির সদস্য লুৎফর রহমান খোককে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
গত বুধবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সদর উপজেলার ফতুল্লায় সোনালি সংসদ মাঠে বিএনপির সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ অনুষ্ঠানে বক্তব্য লুৎফর রহমান খোকা। তিনি বলেন, ‘শাহ আলমের (নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী) জন্য আমরা নমিনেশন আনব। প্রয়োজনে আমরা আত্মাহুতি দেব কেন্দ্রীয় অফিসের সামনে। তারেক রহমান ও দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে ও বিএনপির মহাসচিবকে ঘেরাও করব। বিএনপির সর্বোচ্চ মহলকে পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, ফতুল্লাকে নিয়ে যদি কোনো ষড়যন্ত্র করা হয়, তাহলে কাউকে ছাড়া হবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘এখানে কোনো জোট চলবে না। এই খেলা আর খেলবেন না। ধানের শীষ ছাড়া ফতুল্লায় কিছু চলবে না। ফতুল্লার জনগণের আবেগ, আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে ছিনিমিনি খেলবেন না। ফতুল্লার মানুষদের প্রিয় নেতা শাহ আলমকে বাদ দিয়ে এখানে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া মানেই জনগণের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা।’
বিএনপির শীর্ষ নেতাদের ঘেরাও করার মন্তব্যটি সঠিক হয়নি স্বীকার করে লুৎফর রহমান খোকা বলেন, ‘মন্তব্যটি স্লিপ অব টাং বলতে পারেন। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের প্রায় ৮০ ভাগ ভোটার বিএনপির। এখানে যদি জোটের অন্য কাউকে দেওয়া হয়, তাহলে সেটা ভোটারদের জন্য কষ্টদায়ক। বিষয়টি কেন্দ্রকে বোঝাতে গিয়ে একটু বেশি বলে ফেলেছি। এটা আমার ঠিক হয়নি।’