সংখ্যা বাড়লেও বাঘের অস্তিত্ব এখনো ঝুঁকিতে


সুন্দরবনে বেড়েছে বাঘের সংখ্যা। তবে এখনো তাদের অস্তিত্ব ঝুঁকিতে রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন, খাদ্য কমে যাওয়া, শিকারিদের অপতৎপরতা ও যথাযথ সুরক্ষা না থাকায় এমন পরিস্থিতি বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এই অবস্থায় ‘বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি, সুন্দরবনের সমৃদ্ধি’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে আজ ২৯ জুলাই পালিত হচ্ছে বিশ্ব বাঘ দিবস।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জলবায়ু পরিবর্তন, মানব সৃষ্টসহ নানা কারণে আশঙ্কাজনক হারে কমছিল বাঘের সংখ্যা। ২০০৪ সালে যেখানে বাঘের সংখ্যা ছিল ৪৪০টি, সেখানে ২০১৫ সালে অর্থাৎ ১১ বছরে কমে দাঁড়ায় ১০৬টিতে। এই অবস্থায় নড়েচড়ে বসে বন বিভাগ, উদ্যোগ নেওয়া হয় ঝুঁকি কমিয়ে বাঘের সংখ্যা বাড়ানোর। ২০১৮ সালের জরিপে বাঘের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১১৪। ২০২৪ সালের জরিপে এই সংখ্যা ১২৫টি নির্ধারিত হয়েছে। তবে এর বাইরে রয়েছে, শাবক ও মৃত বাঘের সংখ্যা, যা তালিকায় আসেনি। সূত্র আরও জানায়, ২০১৮-২৪ পর্যন্ত বনে মারা যায় ৯টি বাঘ। এ ছাড়া ২০১৮-২৪ পর্যন্ত ২টি বাঘের চামড়া উদ্ধার করা হয়।
সুন্দরবন একাডেমির পরিচালক অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদির বলেন, সুন্দরবনে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারী শিকারিদের কারণে বাঘের জীবন বিপন্ন হয়ে উঠেছে। এই শিকারিদের চিহ্নিত করে সুন্দরবনের নিরাপত্তার ওপর বিশেষ নজর দিতে হবে।
এদিকে বাঘ দিবস উপলক্ষে খুলনা বন বিভাগের চারটি রেঞ্জে কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। বন সংরক্ষক ইমরান জানান, মঙ্গলবার সকাল ১০টায় খুলনার দুটি রেঞ্জে এবং বেলা ২টায় সাতক্ষীরার দুটি রেঞ্জে বাঘ সুরক্ষায় জনসচেতনতামূলক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে অনুরূপ কর্মসূচি পালিত হবে।